বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইরাক মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিল বাংলাদেশের অন্যতম স্বীকৃতিদানকারী। মাঝে যুদ্ধবিগ্রহের কারণে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হলেও এখন আবার ভালো হচ্ছে। এখন তেল রপ্তানি করে তারা মাসে আট বিলিয়ন ডলার আয় করে। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালোর দিকে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে শাকসবজি-ফলমূল আমদানিতে ইরাকের আগ্রহ রয়েছে। আমের মৌসুমে আম নিতে তারা বেশি আগ্রহী। বাংলাদেশ থেকে আলুও তারা আমদানি করতে চাচ্ছে।
সবজি রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু করতে স্বল্প সময়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা সই হবে বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, আলু রপ্তানিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। রপ্তানি করার মতো পর্যাপ্ত আলু বাংলাদেশে এখন উৎপাদন হচ্ছে।
লিচু পরিবহনে কৃষকদের সহায়তা দেবে ইউএসডিএ
পূর্বাচলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অ্যাক্রেডিটেশন কৃষিল্যাব স্থাপনে সহায়তা দেওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ- ইউএসডিএ।
এদিন ইউএসডিএ প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও কৃষিমন্ত্রীর আলাদা বৈঠক হয়। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অ্যাগ্রিকালচারাল এটাসে মেগান ফ্রান্সিস।
বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, পূর্বাচলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুই একর জমিতে আন্তর্জাতিক মানের একটি কৃষি ল্যাব হবে। ইউএসডিএ সেখানে আর্থিক এবং কারিগরি সাপোর্ট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এছাড়া আম ও লিচুর মতো পচনশীল ফল উৎপাদনকারী কৃষকদের সঙ্গে তারা সহযোগিতামূলক কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। আগামী মৌসুমে লিচু পরিবহনে তারা ফ্রিজিং ভ্যান দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করবে।