মন্ত্রী বলেন, দাম নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার কাজ করছে , একসঙ্গে অনেক পণ্য কেনার মানসিকতা বদলের সময় এসেছে।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পবিত্র রমজান উপলক্ষে ভর্তুকি মূল্যে নিম্ন আয়ের ১ কোটি পরিবারের মধ্যে টিসিবির পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম সংক্রান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রমজান সংযমের মাস হলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফা করতে গিয়ে পণ্যের দাম বাড়ায় উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের (অসাধু ব্যবসায়ীদের) নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৭টি পণ্য নিয়ে কাজ করে। আজকে শুনছি মাংসের দাম বাড়ছে, আমি সেই মন্ত্রণালয়কে এটা জানাবো।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা লিখেন, পৃথিবীজুড়ে উৎসব এলে মানুষ দাম কমায়, সেখানে আমাদের দেশে এই মানসিকতা কেন? রোজা শুরু হবার আগেই আমরা একেবারে বেশি পণ্য কিনি। যার ফলে হঠাৎ করে সাপ্লাইচেইনে প্রভাব পড়ে যায়।
খাদ্যপণ্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দেখে বিধায় দাম নিয়ন্ত্রণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চাল খাদ্য মন্ত্রণালয় দেখে, পেঁয়াজ কৃষি মন্ত্রণালয়। কখনো জরুরি হলে আমরা একসঙ্গে বসে কাজ করি।
দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিদিনই কিছু জিনিসের দাম বাড়ছে, কিছু জিনিসের দাম কমছে। বিশ্ববাজারে সব কিছুর দাম বাড়ছে। আপনারা জানেন। গুগলে এখন সয়াবিন তেলের বাজারদর দেখেন। এখন ব্রাজিলে দাম বাড়ার কারণে যদি আমাকে পদত্যাগ করতে হয়, তাহলে কোনো সমস্যা নেই। ব্যাপারটা হলো সাপ্লাইচেইন, মানুষের ডিমান্ড। আপনি যদি হুট করে বেশি করে নেওয়া শুরু করেন দাম বাড়বে। মুরগির দাম বাড়ে, যখন বাড়ে তখন কথা হয়। পেঁয়াজের দাম যখন বেড়েছে আমি প্লেনে করে পেঁয়াজ এনে খাইয়েছি।
তিনি বলেন, যুদ্ধ শুরু হয়েছে। গ্লোবাল মার্কেটে তেলের দাম বেড়েছে। জাহাজ ভাড়া বেড়েছে। সব কিছুতেই প্রভাব পড়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অসাধু ব্যবসায়ী। আমরা সার্বিকভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।
এ সময় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও টিসিবির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।