দুর্নীতির অভিযোগে ডিএসই'র সিআরও লতিফকে অব্যহতি

দুর্নীতির অভিযোগে ডিএসই'র সিআরও লতিফকে অব্যহতি
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একই পদে দীর্ঘদিন থাকার কারণে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েছেন উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. আব্দুল লতিফ। বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। প্রতিদিনের লেনদেনের তথ্য বাহিরে প্রচার করতেন। এছাড়া ডিএসইর কয়েকটি ব্রোকারেজে বড় ধরণের অনিয়মের সঙ্গেও তিনি যুক্ত রয়েছেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তার (সিআরও) পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, ডিএসইর কিছু সদস্যকে তিনি অনৈতিক সুবিধা দিয়েছেন। এসব সুবিধা দিয়ে তিনি তার জায়গাটিকে আরও পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিলেন। এছাড়া কোন বিনিয়োগকারী কোন শেয়ার কিনেছেন ও কতদিন তা হোল্ড করছেন? তা বাহিরে প্রকাশ করতেন আব্দুল লতিফ। এই অভিযোগটি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নজরে আসার পরই তাকে এই দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিএসইতে তার যায়গায় নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিজিএম মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ভূইয়াকে।

আরও জানা যায়, তার দূর্বল মনিটরিং ও নিজের স্বার্থ হাসিল করার কারণেই কয়েকটি ব্রোকারেজে বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে। বানকো সিকিউরিটিজে ডিএসই তদন্ত করে কাস্টমারদের হিসেবে ২০ কোটি বেশি দেখেছিলো। পরবর্তীতে বিএসইসির নির্দেশে মাত্র এক সপ্তাহ পর আবারও তদন্ত করলে সেখানে ৬৬ কোটি টাকা নেগেটিভ পাওয়া যায়। এই অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ডিএসই। এছাড়াও ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ, তামহা সিকিউরিটিজ, মডার্ন সিকিউরিটিজসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠানে বড় ধরণের অনিয়ে পেয়েছে ডিএসই। তবে যাদের সাথে তার ভালো সম্পর্ক আছে, তাদের প্রতিষ্ঠানে কোন ধরণের তদন্ত না পাঠানোর অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত ১৫ মার্চ ডিএসইর রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কমিটিতে (আরএসি) সিজিএফআরসি বাদে সকল বিভাগের প্রধানদের বদলি করার নির্দেশ দিয়েছে। ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথককরণ বা ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের সেকশন ২৪ অনুযায়ী এই নির্দেশনা দিয়েছে। বিএসইসির নির্দেশনার পর গত ১৬ মার্চ ডিএসইর ডিজিএম হোসনে আরা পারভীনের সই করা চিঠিতে আব্দুল লতিফকে ট্রেজারি,রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ফিন্যান্স এবং একাউন্সের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ডিএসইতে ২০০৬ সালে চাকুরি জীবন শুরু করেন আব্দুল লতিফ। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ডিজিএম হিসেবে আছেন তিনি। ডিএসইর স্পর্শকাতর জায়গাগুলোর অন্যতম হলো রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কমিটিতে (আরএসি)। ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথককরণ বা ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের পর থেকেই এ বিভাগে রয়েছেন তিনি। ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর ডিএসই ও সিএসইর ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন হয়। এর পর থেকেই এই বিভাগে কর্মরত ছিলেন আব্দুল লতিফ।

এরপরে ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর অসুস্থতার কারণে ডিএসইর ওই সময়ের সিআরও একেএম জিয়াউল হাসান খান পদত্যাগ করেন। এর পর থেকেই ভারপ্রাপ্ত সিআরও হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। নিজের মতো করে বলয় তৈরি করে ভিতরে-বাহিরে সকল সুবিধা নিয়েছে আব্দুল লতিফ।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত