মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার চায় এফবিসিসিআই

মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার চায় এফবিসিসিআই
রপ্তানি খাতসহ সব শিল্প খাতে উৎসে কর ও আগাম কর ফেরত দেওয়ার পরিবর্তে পুরো বিলোপের সুপারিশ করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। ব্যবসায়ে অহেতুক খরচ ও সময় কমানোর জন্য এ সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। এ ছাড়া জমি ক্রয়, নির্মাণ, পরিষেবার বিলসহ যাবতীয় সব সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) প্রত্যাহার চায় এফবিসিসিআই।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মৌলিক বাজেট প্রস্তাবে এসব সুপারিশ করেছে এফবিসিসিআই। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বাজেট–সংক্রান্ত পরামর্শক সভায় এসব প্রস্তাব করা হবে। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ সভার যৌথ আয়োজক অর্থ মন্ত্রণালয় ও এফবিসিসিআই। সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এফবিসিসিআই অতিক্ষুদ্র ও কুটির, ক্ষুদ্র, মাঝারি (সিএমএসএমই) ও বৃহৎ শিল্পের জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। সংগঠনটি অতিক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পকে আট বছর পর্যন্ত কর অবকাশ–সুবিধা দিতে সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে। এ ছাড়া যেসব ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক টার্নওভার তথা লেনদেন ৫০ কোটি টাকার নিচে, সেগুলোর মূসক হার ৩ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা এবং এসব প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল, উপকরণ ও যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্কহার ১ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

বার্ষিক লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে, এমন মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মূসক হার ৪ থেকে ৬ শতাংশ এবং এসব প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল, উপকরণ ও যন্ত্রপাতির শুল্কহার ১ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে রাখতে বলেছে এফবিসিসিআই। আর ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়, এমন ধরনের বড় প্রতিষ্ঠানের সব কাঁচামাল, উপকরণ ও যন্ত্রপাতিতে শুল্কহার ১ থেকে ৩ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ করেছে তারা। সেই সঙ্গে অনুন্নত এলাকায় শিল্পকারখানা করলে উদ্যোক্তাদের প্রথম আট বছর কর–সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করেছে তারা।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই বাজেট প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে। আজ পরামর্শক সভায় তা উপস্থাপন করা হবে। ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠনটি আমদানি পর্যায়ে শুল্কস্তর পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাবটি এ রকম: এতে তৈরি পণ্যে ২৫ শতাংশ; দেশে উৎপাদিত হয় এমন যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও মধ্যবর্তী কাঁচামালে ৭ থেকে ১০ শতাংশ; মৌলিক ও দেশে উৎপাদিত হয় না এমন মধ্যবর্তী কাঁচামালে ১ থেকে ৩ শতাংশ এবং শিল্প খাতের যন্ত্রপাতি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যে ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা।

আয়কর নিয়েও একগুচ্ছ প্রস্তাব রয়েছে এফবিসিসিআইয়ের। যেমন বেতন, ফি, সুদ ও লভ্যাংশ ছাড়া অন্য লেনদেন ও প্রাপ্তির ওপর উৎসে আয়কর এবং আমদানিকালে আরোপিত আয়কর প্রত্যাহার করা। এ ছাড়া সংগঠনটি কেবল চূড়ান্ত করযোগ্য নিট আয়ের ভিত্তিতে ব্যবসা বা পেশার ওপর আয়কর আরোপের প্রস্তাবও করেছে।

এ ছাড়া এফবিসিসিআই সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন কাজে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও কর পরিশোধের প্রমাণ দাখিল বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি কর নিবন্ধনের বিভিন্ন দলিলকে বিনিয়োগ দলিল হিসেবে বিবেচনা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ