তিনি বলেন, ‘আশাই মানুষকে ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যায়, আশাই মানুষকে জীবন সংগ্রামে টিকিয়ে রাখে। সেজন্যই আমি সেই সংবাদগুলো প্রকাশের অনুরোধ জানাবো, যে সংবাদগুলো মানুষের মাঝে আশা জাগাবে; মানুষকে জানাবে যে, আগামীতে সমস্ত অন্ধকার কেটে গিয়ে সুদিন আসবে।’
সংবাদপত্র মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা চেষ্টা করবেন যাতে করে ইতিবাচক সংবাদগুলো বেশি করে আসে। এই সময়ে ইতিবাচক সংবাদগুলো খুব জরুরি, কারণ হতাশাগ্রস্ত, শংকিত মানুষেরা ভবিষ্যত নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত। এই সময়ে মানুষকে আশাবাদী করে তোলা আমাদের দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক মাধ্যমেও অনেক সময় নেতিবাচক সংবাদ আসে, যেগুলো অনেকসময়ই বাস্তবচিত্রের পরিস্ফুটন নয়। আমি দেখেছি যে গতকাল বিদেশি গণমাধ্যমে এমন একটি সংবাদ এসেছে, যেটি এখানে অনেক পত্রিকায়ই ছাপা হয় নাই। এইজন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’
‘সংবাদপত্র ও সরকার, আমরা আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবো এবং যেহেতু আমাদের সম্মিলিত লক্ষ্য জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সুতরাং সেই লক্ষ্যেই আমরা সবাই একযোগে কাজ করবো’ উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিউজপেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (নোয়াব) প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী একথা বলেন। তথ্যসচিব কামরুন নাহার, নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ ও এসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম, তারিক সুজাত, শাহ হোসেন ইমাম, নঈম নিজাম, আলতামাশ কবির মিশু ও সাইফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
নোয়াব সভাপতি একে আজাদ তার বক্তব্যে সরকারি ক্রোড়পত্রসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল যাতে সংবাদপত্রগুলো দ্রুত পেতে পারে সেজন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরো জোরালো ভূমিকা নেবার অনুরোধ করেন। একইসাথে সংবাদপত্রের জন্য ব্যাংক ঋণ সুবিধা ও সংবাদপত্রের হকার, পরিবহন শ্রমিক ও এজেন্টদের জন্য আর্থিক প্রণোদনার বিষয়গুলো সুবিবেচনার দাবি জানান।
এর প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সংবাদপত্রের যে বকেয়াগুলো আছে, সেগুলো পরিশোধের জন্য ইতোমধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ থেকে চিঠি দিয়ে দেয়া হয়েছে, যাতে সব মন্ত্রণালয় সংবাদপত্রের বকেয়া পরিশোধ করে। সেটির প্রেক্ষিতে আমরা আগামী সপ্তাহে প্রয়োজনে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটা তাগিদপত্র সব মন্ত্রণালয়ে দেব।’
ড. হাছান আরো বলেন, ‘আপনারা যে সংবাদপত্র পরিচালনা করার জন্য যে ঋণের কথা বলেছেন, সেবিষয়েও আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কথা বলবো। যেহেতু সংবাদপত্র আমার দৃষ্টিতে একটি সার্ভিস সেক্টর। আপনারা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শিল্প হিসেবেও আপনারা কিছু সুবিধা পান, পাশাপাশি সার্ভিস সেক্টর হিসেবেও আমি মনেকরি এখানে সুযোগ রয়েছে।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাথে মতবিনিময়
এর পরপরই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ প্রতিনিধিবৃন্দ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর সাথে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী ও সদস্য মোতাহার হোসেন মন্ত্রীর সাথে মতবিনিময়কালে সদ্যপ্রয়াত সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনের পরিবারের জন্য সাহায্য কামনা করেন। সেইসাথে করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিকদের জন্য সুচিকিৎসা ও ডিআরইউ সদস্যদের জন্য সম্ভাব্য সরকারি সহায়তার আবেদন জানান প্রতিনিধিবৃন্দ।