যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জিএসপি সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জিএসপি সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ
করোনা মহামারীর প্রভাবে সৃষ্ট বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অগ্রাধিকারযোগ্য বাজারে (জিএসপি সুবিধা) প্রবেশাধিকার এবং বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলারের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এবং সহযোগিতা নিয়ে শুক্রবার ফোনে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন। ফোনে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য তিনি রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

প্রকল্প সহায়তা, খাদ্য সহায়তা এবং পণ্য সহায়তা হিসেবে এযাবৎ ৪.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার জন্য এবং কোভিড-১৯ প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়ামূলক কর্মসূচিতে ৩.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরুরি সহায়তার জন্যও তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষ ও অর্থনীতির জন্য ১১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যা জিডিপির ৩.৫ শতাংশ। এই প্যাকেজের অর্থ ব্যয়ে জনসাধারণের ব্যয় বৃদ্ধি, সামাজিক সুরক্ষা জালকে প্রশস্ত করা এবং আর্থিক সরবরাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে জোর দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, পরিষেবা খাত এবং কুটির শিল্পগুলোকে সুরক্ষার জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে কার্যনির্বাহী মূলধনের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলার বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

রবার্ট আর্ল মিলার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত সময়োপযোগী আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্র এই সঙ্কট মোকাবেলায় সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের ওপর কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা জোরদার, স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ করে স্বাস্থ্য পরিষেবা, সক্ষমতা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে সমর্থন বাড়ানোর অনুরোধ করেন। পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা নেট প্রোগ্রাম প্রশস্তকরণে সমর্থন দেয়া, উন্নয়নের উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে সক্ষম কৃষি যান্ত্রিকীকরণের অর্থায়নে সহায়তা; স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দুর্যোগ ও মানবিক সহায়তা কর্মসূচির জন্য স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তারও অনুরোধ করেন।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত মিলার ইউএস এক্সিম ব্যাংকের নতুন পন্য সম্পর্কে অবহিত করেন। এক বছরের জন্য প্রদত্ত এ সুবিধার আওতায় রয়েছে- সরাসরি ঋণ বা ঋণ গ্যারান্টি, সাপ্লাই চেইন অর্থায়ন গ্যারান্টি, কার্যনির্বাহী মূলধন গ্যারান্টি এবং প্রি ডেলিভারি/প্রি এক্সপোর্ট অর্থায়ন সুবিধা।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি