সোমবার (৪ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বন্ড দুটি জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের আর্থিক পণ্য। কিন্তু সূত্রগুলো জানায়, অধিদপ্তর এ বিষয়ে কিছুই জানে না। অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এ প্রজ্ঞাপন আপলোডও করা হয়নি। আবার আইআরডি প্রজ্ঞাপন জারি করলেও এ নির্দেশনা মূলত অর্থ বিভাগ থেকে এসেছে বলে জানা গেছে।
ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ডে ১ লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগের বিপরীতে প্রথম বছর শেষে এত দিন ৬ দশমিক ৫ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যেত। এখন পাওয়া যাবে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ মুনাফা। একইভাবে দ্বিতীয় বছর শেষে ৭ শতাংশের বদলে ৫ শতাংশ এবং তৃতীয় বছর শেষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশের বদলে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ পাওয়া যাবে।
এ ছাড়া ১ লাখ ১ থেকে ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করে প্রথম বছর শেষে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ৪ শতাংশ ও তৃতীয় বছর শেষে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যাবে। আর ৫ লাখ ১ ডলার থেকে তার বেশি অর্থ বিনিয়োগের বিপরীতে প্রথম বছর শেষে ২ দশমিক ৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ৩ শতাংশ ও ৩ বছর শেষে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যাবে।
এদিকে ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে ১ লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগের বিপরীতে প্রথম বছর শেষে ৫ দশমিক ৫ শতাংশের বদলে ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ৬ শতাংশের বদলে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ আর তৃতীয় বছর শেষে ৫ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যাবে।
এ ছাড়া ১ লাখ ১ থেকে ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগের বিপরীতে প্রথম বছর শেষে ৫ দশমিক ৫ থেকে ৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ৬ শতাংশের বদলে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ ও মেয়াদান্তে ৬ শতাংশের বদলে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যাবে। ৫ লাখ ১ থেকে তার বেশি ডলারের বিনিয়োগের বিপরীতে প্রথম বছর শেষে ৫ দশমিক ৫ শতাংশের বদলে ২ শতাংশ, দ্বিতীয় বছর শেষে ৬ শতাংশের বদলে ২ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৩ বছর শেষে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের বদলে ৩ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যাবে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের চালু করা আরও একটি বন্ড রয়েছে। এর নাম ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড। এ বন্ডের মুনাফার হার ও স্তর কমানোর কথা কিছুই নেই নতুন প্রজ্ঞাপনে। এ বন্ডে ৫ বছর শেষে মুনাফার হার ১২ শতাংশ।