জানা যায়, দুই বছর আগে রিজার্ভ চুরির মামলায় ব্লুমবেরি রিসোর্টস অ্যান্ড হোটেলস ইনকর্পোরেটেড এবং ইউচেঙ্গোর নেতৃত্বাধীন রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি) সহ ২০টি প্রতিষ্ঠানকে দায়ি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের বিরুদ্ধে 'চুরির ষড়যন্ত্রে সহায়তা করা, জালিয়াতি (আরসিবিসির বিরুদ্ধে) এবং জালিয়াতির সহায়তার' অভিযোগ দায়ের করা হয়।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) ব্লুমবেরি ফিলিপাইন স্টক এক্সচেঞ্জকে (পিএসই) জানায়, নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট ৮ এপ্রিল অভিযোগটি খারিজ করেছে।ফিলিপাইন ডেইলি ইনকোয়ারার এর রিপোর্ট অনুযায়ী, 'কোনো এখতিয়ার না থাকায়' মামলা খারিজ করে কোর্ট।
এই মামলা দায়ের করার আগে ২০২০ সালের মার্চে নিউইয়র্কে আরেকটি মামলায় হারে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্লুমবেরি তাদের ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ইউএস কোর্ট অফ আপিলের কাছে সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল, যা পরে প্রত্যাহার করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চুরি হওয়া কিছু অর্থ আরসিবিসির কাল্পনিক অ্যাকাউন্টে যাওয়ার আগেই নিউইয়র্কের করেসপন্ডেন্ট ব্যাঙ্কগুলো ক্লিয়ার করে। সেই টাকা উইথড্র করার পর আর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনা নিয়ে একটি বিশেষ তদন্তের পর ২০১৬ সালে আরসিবিসিকে রেকর্ড ১ বিলিয়ন ফিলিপাইন পেসো জরিমানা করে ব্যাঙ্কো সেন্ট্রাল এনজি পিলিপিনাস।
পরের বছর, অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের ক্ষমতা বাড়িয়ে একটি নতুন আইনে সাক্ষর করেন ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি রদ্রিগো দুতার্তে। এই কাউন্সিলের কার্যক্রমের অধীনে আনা হয় ক্যাসিনোগুলোকেও।