এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পেয়েছে মোহামেডান। আগে থেকেই ১০ পয়েন্ট রয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের। সমান পয়েন্টের ক্ষেত্রে হেড টু হেড বিবেচনায় এ দুই দলই পেয়েছে সুপার লিগের টিকিট।
সাভার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩০৭ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল মোহামেডান। জবাবে ২২৭ রানে গুটিয়ে গেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
৩০৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে কখনই ম্যাচে ছিল না রূপগঞ্জ। ১০২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের।
চার নম্বরে নামা নাইম ইসলাম বলতে গেলে একাই লড়াই করেছেন। ১১৮ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৮০ রানের ইনিংস খেলে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। আট নম্বরে নেমে মাশরাফি ১৬ বলে ১ চার আর ৪ ছক্কায় খেলেন ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস।
মোহামেডানের নাজমুল ইসলাম অপু ১০ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে নেন ৫টি উইকেট। ২ উইকেট শিকার শুভাগতহোম চৌধুরীর।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৫৪ রান যোগ করেন মোহামেডানের দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও পারভেজ হোসেন ইমন। ইনিংসের নবম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসে জুটি ভাঙেন রূপগঞ্জ অধিনায়ক মাশরাফি। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়া রনি করেন ৩৪ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ১৭ ওভারে ১১৫ রানের জুটি গড়েন পারভেজ ইমন ও কুশল মেন্ডিস। নিজের সহজাত ব্যাটিংয়ে ৭ চার ও ৪ ছয়ের মারে ৬৮ বলে ৭৬ রান করে আউট হন পারভেজ ইমন। এরপর মাহমুদউল্লাহ-মেন্ডিস মাত্র ৪১ বলে যোগ করেন ৭০ রান। যা দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেয়।
লিস্ট এ ক্রিকেটে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ১০১ রান করে আউট হন মেন্ডিস। তার ৯১ বলের ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ৪টি ছয়ের মার। এরপর বাকি পথে দলকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তিনশো পার হয় মোহামেডানের।
মাত্র ২৪ বলে ফিফটি পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহ। তবে অপরপ্রান্তের ব্যাটাররা তাকে সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৪৮তম ওভারে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৫ চার ও ৪ ছয়ের মারে ৪৭ বলে ৭০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের পক্ষে ৪টি উইকেট নিয়েছেন মেহেদি হাসান রানা। লেগস্পিনার তানবির হায়দারের শিকার ২ উইকেট। এছাড়া চিরাগ জানি, মাশরাফি মর্তুজা ও নাবিল সামাদ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।