শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে আজ খাদ্যঘাটতি নেই, সংকট নেই, হাহাকার নেই। সুতরাং হাওরের কৃষকরা না খেয়ে থাকবেন না। হাওরের কৃষক আজ প্রকৃতির কাছে অসহায়। তবে ফসলহারা কৃষকের পাশে সরকার সব সময় থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। প্রতিবছরই কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কতগুলো কারণ আমরা চিহ্নিত করেছি। যে ধানের জাত চাষ করা হয়, সেগুলো পাকতে সময় লাগে। ফসল রক্ষার বাঁধের কাজ আশানুরূপ হয় না। তাই বাঁধের কাজের আরও উন্নতি করতে হবে।
ভবিষ্যতে যাতে বাঁধগুলো রক্ষা করা যায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয় করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এ রকম হলে বাঁধ সুরক্ষিত ও ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে। এলাকার দীর্ঘদিনের দাবি নদী খনন করার। শুধু বাঁধ দিয়ে ফসল রক্ষা হবে না। এ জন্য নদীর পানির ধারণক্ষমতা বাড়াতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামিমা আক্তার খানম প্রমুখ।