প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। শেখ হাসিনা একই অনুষ্ঠানে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) নব-নির্মিত প্রধান কার্যালয়ের ১৪ তলা ভবনের উদ্বোধন করেন।
এ ছাড়া মাদারিপুর বিসিক শিল্পাঞ্চল সম্প্রসারণসহ তিনটি পৃথক স্থানে আরো তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
অপর দু’টি প্রকল্প হল, বাংলাদেশ ইন্ডাষ্ট্রিয়াল টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্স সেন্টার (বিটাক) এর অধীনে ‘সরঞ্জাম প্রতিষ্ঠান স্থাপন’ এবং বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীনে ‘এলইডি লাইট অ্যাসেম্বলিং প্লান্ট’ স্থাপন।
নরসিংদীর ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্প এবং রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঘোড়াশাল প্রান্ত থেকে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমদাদুল হক।
বিআইসিসিতে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি এবং মন্ত্রনালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইটিও নাওকি ঘোড়াশাল প্রান্তে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে এসব প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। পরে শিল্প মন্ত্রনালয় কতৃক প্রকাশিত শিল্পায়ন বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারার ওপর একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
১০ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে বার্ষিক ৯.২৪ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপন প্রকল্প ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেয়া হয় ।
বর্তমানে দু’টি কারখানা ঘোড়াশাল ইউরিয়া সার কারখানা এবং পলাশ ইউরিয়া সার কারখানায় বছরে ৩.১৫ লাখ মেট্রিক টন সার উৎপাদন হয়।
বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান শাহ মো. ইমদাদুল হক তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সারের আমদানি ৫৬ ভাগ কমে যাবে এবং ২০২৫ সালের পর দেশে আর সার আমদানি করতে হবেনা। তিনি বলেন, জাপান ও চীনের সহযোগিতায় এই পরিবেশবান্ধব সার কারখানা স্থাপিত হবে।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) বিদ্যমান দু’টি কারখানার পাশাপাশি একটি দানাদার ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ২,৮০০ মেট্রিক টন।
প্রকল্প ব্যায়ের মধ্যে ১ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা আসবে জাতীয় কোষাগার থেকে এবং ৮ হাজার ৬১৬ কোটি আসবে দরদাতাদের কাছ থেকে।
এ ছাড়া কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং কর্পোরেশনের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিবেশবান্ধব ১৪ তলা বিশিষ্ট বিসিক ভবন নির্মান করা হয়। ১ লাখ ২৬ হাজার ৯০০ বর্গফুটের এই বহুতল ভবনটি হবে বিসিকের প্রধান কার্যালয়, আঞ্চলিক কার্যালয় এবং প্রকল্প অফিস। এই আধুনিক ভবনে সোলার সিস্টেম এবং বৃষ্টির পানি সংগ্রহের ব্যবস্থা রয়েছে।