বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের চারটি প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গণভবন থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের নীতি এবং কর্মসূচির ফলে বর্তমানে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান প্রায় ৩৫ শতাংশ। দেশব্যাপী পরিবেশবান্ধব শিল্পের প্রসার ঘটছে এবং নারীদের অংশগ্রহণ জোরদার হচ্ছে। এতে দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির অনেক সূচকে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে। এরই মধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হয়েছি।
বাংলাদেশ ৭৬৬টি পণ্য বিদেশে রপ্তানি করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সাল থেকে সব নির্বাচনেই দেশের মানুষ আমাদের প্রতি আস্থা রেখেছে, সমর্থন দিয়ে আসছে, আমি দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তাদের এই সমর্থনের ফলে আজকের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে। আমরা মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
পরিবেশবান্ধব শিল্পকারখানা গড়ে তোলার ওপর জোর দেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, প্রতিটি কারখানা গড়ে তোলার সময় পরিবেশকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
শিল্পে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ঘোড়াশাল এবং পলাশে দুটি পুরোনো ইউরিয়া সার কারখানার স্থলে পরিবেশবান্ধব নতুন ‘ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা’ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করি। এ কারখানায় দৈনিক দুই হাজার ৮০০ মেট্রিক টন (বার্ষিক প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন) ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। প্রকল্পটিতে জাপান ও চীন সরকার ঋণসহায়তা প্রদান করায় আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ১৯৫৭ সালে শেখ মুজিব ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (ইপসিক) প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমানে বিসিক নামে পরিচিত। বিসিককে শক্তিশালী করতে আজ আমরা তেজগাঁওয়ে বিসিকের বহুতল ভবন এবং মাদারীপুরে সম্প্রসারিত বিসিক শিল্প নগরী নির্মাণ উদ্বোধন করছি।