বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ-বিআরপিডি থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়ে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনায় এজেন্টের ছবি, জতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পিন নম্বর, বায়োমেট্রিক আঙ্গুলের ছাপ ও লেনদেনের তথ্য সংক্রান্ত গোপন কোড নিশ্চিত করতে হবে। এজেন্ট ব্যাংকিং আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিয়োজিত কর্মকর্তাকে সরাসরি আউটলেট পরিদর্শন করে এর যাবতীয় কার্যক্রম কঠোরভাবে যাচাই করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে হবে।
আউটলেটের ব্যবস্থাপক অথবা নিয়োজিত কর্মকর্তা এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম ব্যাংকের শাখার সঙ্গে পরামর্শ করে এর কার্যক্রম মনিটর করবেন। এজেন্ট মালিকানার পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে লিখিত আবেদন করে আগেই অনুমতি নিতে হবে। তবে মালিকানার পরিবর্তনে অনুমতির প্রয়োজন হলেও আউটলেট বন্ধ করতে অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
এছাড়া গ্রাহকের পরিচয় হিসেবে ছবি, জতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, পিন নম্বর, বায়োমেট্রিক আঙ্গুলের ছাপ, এটিএম কার্ড, লেনদেনের তথ্য সংক্রান্ত গোপন কোড প্রভৃতি নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহকে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনের অনলাইন ও হার্ডকপি পরবর্তী মাসের সাত কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
ব্যাংকসমূহকে ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এজেন্ট ব্যাংকিং পরিচালনার সময় সংঘটিত অনিয়ম, জালিয়াতি, স্ক্যান্ডাল ও অনভিপ্রেত দুর্ঘটনা প্রভৃতি উল্লেখ করতে হবে। এ ধরনের ঘটনায় নিজেদের গৃহীত পদক্ষেপ ও শাস্তির বর্ণনা দিতে হবে। এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটলে সেটিও বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বিভাগকে জানাতে হবে।