রোববার (২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম। এদিন প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপে নির্মাণাধীন ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রথম দফার চেক হস্তান্তর হয়।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ঈদযাত্রায় জনভোগান্তি কমাতে সরকারের পদক্ষেপ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, পরিবহনমালিকদের কিছু সুপারিশ ছিল, আমরা সেগুলো বিবেচনায় নিয়েছি। যানজট যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, ডেডলক যেন না থাকে। এখনো কিছু কিছু জায়গায় কাজ অসম্পন্ন রয়েছে। আমরা সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঠিকভাবে হলে ঈদে যানজট সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
তিনি বলেন, জয়দেবপুর মোড় থেকে এলেঙ্গা মোড় হাটিকুমরুল পর্যন্ত গেলে এলেঙ্গা মোড় পর্যন্ত তিনটি ফ্লাইওভার ছিল; বাজার, শহর থাকায় এখানে যানজট সব সময় লেগেই থাকতো। নওজোর, সফিপুর ও গড়াই- তিনটি ফ্লাইওভার আমরা কালকের (সোমবার) মধ্যে খুলে দিচ্ছি। আমি গতকাল এটা সরেজমিনে দেখার জন্য গিয়েছি, দেখেছি এটা খুলে দেয়ার মতো। এ তিনটি ফ্লাইওভার খুলে দিলে সমস্যা অনেকটা দূর হবে।
মহাসড়ক সচিব বলেন, এলেঙ্গা মোড়ে ইন্টারসেকশনগুলো চওড়া করে দিচ্ছি। বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যে গাড়ি আসবে এদিকে তারাকান্দা, মধুপুর, ঘাটাইল দিয়ে জামালপুর ও ময়মনসিংহে যাওয়ার একটা রাস্তা আছে। হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে, ময়মনসিংহ-জামালপুরের গাড়িগুলো সেদিক দিয়ে ডাইভার্ট করার একটা অপশন আমরা রেখেছি।
তিনি বলেন, ঢাকা-গাজীপুর ও ঢাকা-ময়মনসিংহ এ করিডোরে অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি এখানে যানজট হয়। আব্দুল্লাহপুর থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা, আবার জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে এলেঙ্গা হাটিকুমরুল- এ করিডোরেও যানজটের অভিজ্ঞতা আছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, এবার কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি থাকবে। সেটা বিবেচনায় রেখে আমাদের অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে। আমাদের কন্ট্রোল রুম আছে, সেটা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমরা সিসিটিভি ক্যামেরাও বসাচ্ছি। আমরা কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং করবো। পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করি যানজট অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঘরে ফিরতে আমাদের ভোগান্তি হবে না। এর যৌক্তিকতাও ব্যাখ্যা করেছি।