১৫ মে লক ডাউন খুলছে। অনেক বিধি নিষেধ ও শর্তারোপে মাধ্যমে লকডাউন পুরোপুরি শিথিল করতে যাচ্ছে নিউইর্য়ক। যদিও লকডাউন শিথিলের পক্ষে গভর্নর ও মেয়র সহনশীল নন। কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্হান, রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্হা, ফেডারেলের সরকারের চাপ, বাসা বাড়িতে মানুষ বন্দি অবস্থায় থাকতে চাচ্ছে না। এ সব কারণ বিবেচনা করে তা শিথিল করা হচ্ছে । যদিও রাজ্যের নীতি নির্ধারক স্পষ্ট করে না বললেও আকারে ইংগিতে আবাস দিচ্ছে । লকডাউনের পর আরেকটা মৃত্যুর জক্কি যেতে পারে!
নিউ ইয়র্কে এত মানুষ মারা যাওয়ার প্রধানতম হচ্ছে, নেগল্যান্সি বা অসাবধানত। করোনার সার্বিক পরিস্থিতির উপর পর্যালাচনা গবেষনা পর্যবেক্ষন করে রাজ্যের নীতি নির্ধারক সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন । মানুষকে সর্তক করেছেন, স্কুল কলেজ অফিস আদালত ক্রমান্বয়ে বন্ধ ঘোষনাসহ লকডাউন জারি করেছে। কিন্ত ততক্ষন যে দিকে পেরেছে করোনা ছোঁয়া ও প্রানে টেনে প্রতিটা বাসায় নিজের সাথে করোনাকে ঢুকে নিয়েছে । তারপর শুরু হলো মৃত্যুর মিছিল। এ মিছিল, আক্রান্ত এখন কী বন্ধ হয়েছে। মোটেই না। বলতে হবে অনেকটা সহনীয় ও যৌক্তিক পর্যায়ে এসেছে । তার মানে এ নয় আপনি আক্রান্ত হবে না ।
এখন ধরে নিন । আক্রান্ত হলেন । যদি আপনার শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে তাহলে করোনার সাথে ফাইট টু রাইট । না হলে পরিবারের অন্যান্যরাও ঝুঁকিতেই
এখন পরিবার কে বাঁচাতে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেন । ধরুন চার জনে ব্যাচেলর একটা বাসায় থাকেন। যদি ট্যাক্সি চালান বা ফুড ভেন্ডার বা শপিংমলে না হয় কোন রেস্টুরেন্ট বা গ্রোসারিতে কাজ করছেন । সীমিত আয় । তাহলে আপনি নিউ ইয়র্কে অবস্হান করেন । আপনার পরিবারকে নিউ ইয়র্ক থেকে ৩/৫ ঘন্টা দুরে যেখানে করোনা মহামারী আক্রমন নাম মাত্র । ঘন বসতি কম । সে সব জায়গায় । বাংলাদেশী কমিউনিটি দেখে পরিবারকে পাটিয়ে দেন । ধরুন বোস্টন , ফিলাডেলফিয়া, সিরাকোস, র- চেষ্টার, বাফেলো । ঐ সব এলাকায় ৩/৪ বেডরুমের বাসা ভাড়া সমান আপনি নিউ ইয়র্কে ব্যাচেলর সিট ভাড়া সমান । মেডিকেল / স্কুল এ সবে সিটির বাস ব্যবস্হা রয়েছে । এ ছাড়া আপনার আয় যদি সহনশীল হয় তাহলে আপনাকে সিটি হাউজিং, খাদ্য বরফের সময় ইউটিলিটি বিলসহ নানা সুবিধা দিয়ে থাকে । আর বিভিন্ন স্টোর যেমন Tim Horton ম্যাকডোন্ডাল বিভিন্ন রেসিডেনসিয়্যাল হোটেলে ৩৫/৪০ ঘন্টা আপনি কাজ করতে পারবেন ।
সামান্য র- চেষ্টারে বাংলাদেশী সাড়ে পাঁচশ পরিবার রয়েছে। সিরকসে দু শ মত। বাফেলো তো প্রায় ১০ হাজারের উপরে । বোস্টন ফিলাডেলফিয়াতে তো আছেই।
আমার এসব কথা অনেকের ভাল লাগবে না । তা জানি । তারপরেও বললাম, কারন আপনি বাঁচলে, সুস্হ থাকলে আপনার পরিবার বাঁচবে। যাদের নিজস্ব বাড়ি আছে নিউ ইয়র্কে তাদের তো ভাল লাগবে না । আর আপনি যদি ঐ বাড়িতে ভাড়া থাকেন, একাংশের ভাড়া করোনার কারনে মওকুফ করবে না। বরং পানি/হিট কেমনে কম খরচ করবেন, বাসায় যাতে কোন গেস্ট না আসে তা জন্য তাগাদা দিবে । তো যার মধ্যবিত্ত বাংলাদশি নিউ ইয়র্কে কষ্টে আছেন তারা বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন । সবার সুস্হতা কামনা করছি । নিরাপদে থাকেন । বেঁচে থাকেন ।
সাইয়িদ মাহমুদ তসলিম
সাংবাদিক, বাফেলো, নিউ ইয়র্ক