দেশের উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখতে এবং আমদানি-রপ্তানিসহ সামগ্রিহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা ঠিক রাখতে চাহিদা অনুযায়ী চলতি মূলধন ঋণসীমা বাড়াতে পারবে ব্যাংক। বুধবার (২৭ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে প্রকাশিত সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারার ক্ষমতা অনুযায়ী এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মাকসুদা বেগম স্বাক্ষরিত সার্কুলারে বলা হয়, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামাল এবং বিভিন্ন উপকরণের মূল্য বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে পরিবহন ব্যয়। ফলে ঋণগ্রহীতাদের অনুকূলে তফসিলি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ইতোমধ্যে মঞ্জুরীকৃত চলতি মূলধন ঋণ সীমার সর্বোচ্চ ব্যবহার সত্ত্বেও চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য পরিশোধ এবং উৎপাদন কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
এতে উৎপাদন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানিসহ চলমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় উৎপাদন কার্যক্রম চালু রাখা এবং আমদানি-রপ্তানিসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা বজার রাখতে ঋণগ্রহীতাদের অনুকূলে ইতোমধ্যে মঞ্জুরীকৃত চলতি মূলধন ঋণ সীমা প্রয়োজন বিবেচনায় অন্তর্বর্তীকালীন ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ ঝুঁকি নিরসন বা হ্রাস করে এবং গ্রাহকের আর্থিক সক্ষমতা যাচাই করে যৌক্তিক পর্যায়ে বাড়ানো যাবে।