রাত ৮টার দিকে রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আঘাত হানতে পারে। এরপর ঝড়টি মেহেরপুর রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, নরসিংদী জেলার ওপর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অভিমুখে চলে যেতে পারে।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনবিলিটির আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড়টি রাত ৮টা থেকে ১০টার দিকে পদ্মা নদী অতিক্রম করবে। ফলে ওই সময়ে পদ্মায় সব ধরনের নৌযান চলাচল প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছি। বিশেষ করে আরিচা ও মাওয়া পথে স্পিডবোট চলাচল করা খুবই বিপজ্জনক বলে মনে করছি।’
গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, বিকেল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে শেরপুর, ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে জামালপুর ও ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ময়মনসিংহের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড়, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি প্রবাহিত হতে পারে। রাত ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
এ কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে আজ রাত ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে তীব্র বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি প্রবাহিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে পশ্চিম দিক থেকে আগত কালবৈশাখী ঝড় ও উত্তর দিক থেকে আগত কালবৈশাখী ঝড় যদি একই সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ঢাকায় আঘাত হানে, তবে দুটি ঝড় মিলিত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রাম অভিমুখে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং কুমিল্লা অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও খুলনায় বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাঙ্গামাটি, রাজশাহী ও পাবনাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু ধরণের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে।