এসময় পথচারীরা ইফতার সংগ্রহ করে আনন্দিত হয়েছেন। তারা ইফতার পাওয়ার আনন্দঘন অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে যারা আমাদের রোজায় ইফতারের ব্যবস্থা করেছেন তাদের জন্য আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের মঙ্গল করে। আমরা ইফতার পেয়ে খুবই আনন্দিত।
ইফতার পেয়ে একজন জেলে বলেন, দীর্ঘ ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞার কারণে ছেলে মেয়েদের জন্য ঠিক মতো ইফতারি কিনতে পারি না, ছাত্রদের ভালো উদ্যোগের কারণে আজ ঠিক মতো ইফতারি করতে পারবো, ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তও অনেকটাই চিন্তিত ছিলাম কিভাবে ইফতার করব। আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়েরা আমাদের ঘরে ইফতার হাতে দিয়ে দিলেন।
এই সময় এক শিক্ষক বলেন, আমি অনেকটাই অবাক হয়ে গেলাম তোমাদের এতো সুন্দর কার্যক্রম দেখে। আমি চাই এভাবে সব সামাজিক সংগঠনগুলো নিজ উদ্যোগে পথচারী, দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে ইফতার বিতরণ করুক।
ইফতার বিতরণ বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনটির আহবায়ক আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, এখানকার মানুষ প্রায়সই নদী ভাঙন, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছে। তাই প্রকৃতিক কারণেই এখানকার অধিকাংশ দরিদ্র মানুষের জীবনমান অতি নিম্ন, তাই এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান পেশা হলো মাছ শিকার (তাও বিশেষ মৌসুম এ) এবং কৃষি। তাই উক্ত অঞ্চলের এই অসহায় মানুষগুলোর জীবনমান উন্নয়নের জন্য ‘হেল্প ফর ভোলা’ সংগঠনটি কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় উক্ত রমজানে নদীভাঙা অসহায় মানুষদের জন্য প্রায় ১০০ পরিবারের মাঝে ইফতারি বিতারণ করা হয়েছে।
এই সময় যুগ্ন আহবায়ক তানভির আল মারুফ এবং সংগঠনটির সদস্য এখলাছ উদ্দিন বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে রোজাদারদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা একটা পূণ্যের কাজ। দুনিয়াতে শান্তি ও পরকালীন মুক্তি এবং মানবতার জন্যই এই উদ্যোগ এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করি এই পূণ্য কাজের মাধ্যমে যেন আমরা সফল কামি হতে পারি।
ইফতার মেনু সম্পর্কে জানতে চাইলে সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সাবাব হোসেন শামিম বলেন, আমরা রোজাদারদের জন্য বুট, মুড়ি, খেজুর, আলুর চপ, বেগুনি, পিঁয়াজুর আয়োজন করেছি যাতে একটি পরিবার তৃপ্ততার সাথে ইফতার করতে পারে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, মো: মোসলেউদ্দিন অনিক, মো: জিসাদ, আফতাব উদ্দিন, মো: তামিম আসরাফ, হাফিজ, নয়ন, ইব্রাহিম, ফাংয়ার রাছেল, জাহিদ, মাকসুদ, সাব্বির এবং মন্টি সদস্যবৃন্দ তানভির, শাহিন, তারেক, মারুফসহ আরো অনেকেই।