সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিকুজ্জামান এর বক্তব্য থেকে রাসেলের জামিনে মুক্তির বিষয়ে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জামিনে মুক্ত হয়ে ইতিবাচকভাবে ব্যবসা করলে মন্ত্রণালয় থেকেও সহযোগিতা করা হবে বলে জানান শফিকুজ্জামান।
শফিকুজ্জামান ঐ সাক্ষাৎকারে বলেন, ইভ্যালির বিষয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। আর ইভ্যালির বিষয়ে যে আপডেট আমার কাছে অন্তত আছে, সেটা হচ্ছে, ইভ্যালির প্রাক্তন সিইও –এমডি মিস্টার রাসেল উনি ইতোমধ্যে বেশকিছু ফৌজদারি মামলায় প্রায় নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। আর দুই একটা যেগুলো পেন্ডিং মামলাগুলো আছে, আমি যেটুকু ইনফরমেশন পেয়েছি, এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্যানেল ল-ইয়ার সহ সেটা আমরা যেটা আমাদের খোঁজখবরে বোঝা যাচ্ছে সেটা হলো – ইভ্যালির প্রাক্তন এমডি-সিইও রাসেল ঈদের পরে পরে সে হয়তো, ডিউ প্রসেসে কোর্টের মাধ্যমে যদি জামিন পেয়ে যায়, জামিন হলে সে আবার বাইরে আসলে এটার ক্ষেত্রে বেশকিছু ডেভেলপমেন্ট হতেই পারে।
শফিকুজ্জামান আরও বলেন, এধরনের প্রতিষ্ঠান যেগুলো আছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যারা ব্যবসায় ফিরে আসতে চাইবেন, তাদেরকে সমহারে সুযোগ দেবো।
শফিকুজ্জামানের এমন বক্তব্যে নতুন করে ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে আশাবাদী হচ্ছেন গ্রাহক ও মার্চেন্টদের একটি বড় অংশ। তারা আশা করছেন যে, ইভ্যালির পরিচালনায় যদি মোহাম্মদ রাসেল আবার ফিরে আসেন, তাহলে গ্রাহক ও মার্চেন্টদের পুরনো দেনা পরিশোধের পাশাপাশি নতুন করে ব্যবসা দাড়া করাতে পারবেন তিনি।
ইভ্যালির এক গ্রাহক মিরপুরের বাসিন্দা আমিন উদ্দিন বলেন, কিউকম এর সিইও রিপন ভাই কিন্তু জামিনে বের হয়ে গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করছেন। আলিশামার্ট’কেও সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয় নাই, তারা কিছু গ্রাহকদের টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এথেকে এই বিষয়টা পরিষ্কার যে, রাসেল ভাই এর মতো ব্যবসায়ীদের জেলে রেখে দিলে আর যাই হোক, সাধারণ গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কোন উপকার হবে না। প্রয়োজনে তাকে তদারকির মধ্যে রেখে, ব্যবসা পরিচালনা করতে দিলে, তিনি ব্যবসা করে হলেও আমাদের টাকা ফিরিয়ে দিতে পারেন। অন্তত একটা সম্ভাবনা তো আছে এখানে। আমরা গ্রাহক হিসেবে সেই দাবি জানাচ্ছি।
ইভ্যালিতে পণ্য বিক্রি করে বকেয়া টাকার অপেক্ষায় আছেন এমন এক মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার বলেন, ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ আমরা রাসেল ভাই এর সাথে আছি। ইভ্যালির একটা বড় গ্রাহক শ্রেণী আছে। উনি বের হয়ে ব্যবসার দায়িত্ব নিলে আমরা প্রয়োজনে ওনাকে আবারও পণ্য দেবো। উনি সেগুলো ক্যাশ অন ডেলিভারিতে বিক্রি করে, সেখান থেকে মুনাফা করে আমাদের পুরনো বকেয়া শোধ করবেন। মহামান্য উচ্চ আদালত যে পরিচালনা পর্ষদ করে দিয়েছেন তারা তো এতদিনেও আমাদের কিছু ফেরত দিতে পারল না। এবার না হয় এই অপশনটাও চেষ্টা করে দেখা হোক।