বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকেলে তিনি জানান, আত্মসমর্পণ করার পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করবেন হাজী সেলিম।
এদিকে আগামী ২৫ মের মধ্যে হাজী সেলিমকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে দুর্নীতির মামলায় সাজা নিয়ে ঈদের আগে অনেকটাই চুপিসারে বিদেশে যান তিনি। এই নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। তবে দেশের বাইরে থেকে বৃহস্পতিবার ফিরে আসেন তিনি।
হাজী সেলিমের একান্ত সচিব মহিউদ্দিন মাহমুদ বেলাল তার দেশে ফেরার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে দেশে ফিরেছেন সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম।
হাজী সেলিমের হঠাৎ দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ড যাওয়া ও আবার চিকিৎসা শেষে ফিরে আসা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বলেন, হাজী সেলিম আইন মেনেই গিয়েছেন আবার আইন মেনেই ফিরে এসেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উনি খুব ইমার্জেন্সি চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে গিয়েছিলেন আবার ফেরত চলে এসেছেন। তিনি হাইকোর্ট থেকে অনুমোদন নিয়ে গেছেন। তিনি একজন সংসদ সদস্য, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনকে মাথায় রেখেই তিনি গিয়েছেন। মোট কথা তিনি আইন মেনেই গিয়েছেন আবার আইন মেনেই ফিরে এসেছেন।
হাজী সেলিমের দেশ ছাড়ার বিষয়টি সোমবার (২ মে) সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন তার ছোট ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম।
তিনি ওইদিন বলেছিলেন, তার বাবা চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড গেছেন। দুই-তিনদিনের মধ্যেই দেশে ফিরবেন। এরপর আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন।
ইরফান সেলিম আরও বলেন, একটি টেলিভিশন চ্যানেল তার বাবার বিরুদ্ধে দেশ থেকে পালিয়েছেন বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা সঠিক নয়।
হাজী সেলিমের বড় ছেলে সোলাইমান সেলিম গত রোববার (১ মে) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রশ্নের জবাবে জানান, তার বাবা এখন দেশে নেই। এরপর থেকে বিষয়টি জানাজানি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে তার বিদেশ সফরের বৈধতা এবং ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।