হু এই অতিরিক্ত মৃত্যুর সংখ্যা গণনা করেছে মহামারীর সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা এবং তার আগের বছর অতিমারীর অনুপস্থিতিতে মৃত্যুর সংখ্যা পার্থক্য হিসাবে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী আগস্ট ২০২০-তে অর্থাৎ যে সময় সারা ভারতে করোনার কারণে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল সে সময় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে মৃত্যুর হার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় স্ফীতির সময়, গত বছর এপ্রিল, জুন মাসে সেই গিয়ে দাঁড়ায় ২৭ লাখে।
শুধু ভারত নয় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মৃত্যু হারও প্রকাশ করেছে হু। কেন এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যাও করেছেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ট্রেডস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে হু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এই মহামারীর সময়কালে বেশির ভাগ অতিরিক্ত মৃত্যু (৮৪শতাংশ) হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকায়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এই অতিরিক্ত মৃত্যুর প্রায় ৬৮ শতাংশ বিশ্বের মাত্র ১০টি দেশে কেন্দ্রীভূত।
এক বছর সময়কালে মধ্য আয়ের দেশগুলোতে মৃত্যু হয়েছে ৮১ শতাংশ। এর মধ্যে উচ্চ-মধ্য আয়ের দেশগুলিতে ৫৩ শতাংশ এবং উচ্চ-মধ্য আয়ের ২৮ শতাংশ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা