আসন্ন ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে এ সুবিধা চেয়ে সম্প্রতি এনবিআরকে চিঠি দেয় সংগঠনটি। এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিসিএমএ সভাপতি মো. আলমগীর কবির বলেন, সিমেন্ট শিল্পে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে কয়েক লাখ নির্মাণশ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কর্মসংস্থান রয়েছে। এ খাতটি দেশের সিমেন্টের পুরো চাহিদা মিটিয়ে গত ১৫ বছর ধরে রফতানি করে আসছে। বছরে এ খাত থেকে শুল্ক-কর-ভ্যাটবাবদ প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা হয়।
করোনার প্রাদুর্ভাব ও লকডাউনের কারণে দেশে নির্মাণ কাজ নেই বললেই চলে। এ কারণে কারখানাগুলোর ৯০ শতাংশ উৎপাদন বন্ধের পথে। কিন্তু কোনো আয় না থাকলেও শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য নিয়মিত খরচবাবদ বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ শিল্পখাতটি বর্তমানে নাজুক অবস্থায় পতিত হয়েছে। আগামী বাজেটে কাঁচামালের আমদানি শুল্ক হ্রাস এবং অগ্রিম আয়করের অসামঞ্জস্যতা দূর করার অনুরোধ জানান তিনি।
চিঠিতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে সিমেন্টের প্রধান কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানির শুল্ক প্রতি টনে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা নির্ধারণের অনুরোধ জানানো হয়। আর বর্তমান বাজেটে আমদানি পর্যায়ে ৩ শতাংশ অগ্রিম আয়কর চূড়ান্ত দায় হিসেবে বিবেচনার বিধানটি পুনঃবিবেচনা করার অনুরোধ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ৩ শতাংশ অগ্রিম আয়কর চূড়ান্ত দায় হিসেবে নিলে উৎপাদনকারীকে অধিক মুনাফা করতে হবে, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে এই শিল্পে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাছাড়া বেশিরভাগ খাতে অগ্রিম আয়কর সমন্বয়ের সুযোগ রাখা হলেও ব্যতিক্রম কেবল সিমেন্ট শিল্প।
বিষয়টি একই আইনের দ্বৈত প্রয়োগ, যা কোনোভাবেই ন্যায়সংগত নয়। তাই এটি সমন্বয়যোগ্য করার মাধ্যমে সবার জন্য আইনের সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর থেকে এ পর্যন্ত সিমেন্ট খাতে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে করে দাবি করছে বিসিএমএ।