ডব্লিউএইচওর এই পরিসংখ্যানের মধ্যে সরাসরি করোনাভাইরাসজনিত কারণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় মহামারির প্রভাবে পরোক্ষ মৃত্যুও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন, হাসপাতালগুলো করোনা রোগীতে পূর্ণ থাকায় অনেক ক্যানসার রোগীর চিকিৎসা নিতে না পারা, অনেক ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগীর সঠিক সময়ে ডায়ালাইসিস করতে না পারা ইত্যাদি পরিস্থিতিতে মৃত্যু।
এর আগে ল্যানসেটে প্রকাশিত ‘ইনস্টিটিউট অফ হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশন’ (আইএমএইচই)-এর একটি দলের সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, করোনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লাখ ১৩ হাজার, যা সরকারি পরিসংখ্যান থেকে ১৫ গুণ বেশি ছিল।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর যে তথ্য দিয়েছে সরকার, বাস্তবে মৃত্যু তার চেয়ে হয়তো দ্বিগুণ বেশি হতে পারে, তবে পাঁচ গুণ বেশি মৃত্যু কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে আপনারা সবাই জানতে পারতেন। তবে করোনার প্রভাবে পরোক্ষাভাবে কী পরিমাণ মানুষ মারা গেছে, তা জানতে কাজ করছে সরকার। আগামী জুন-জুলাইয়ে এ বিষয়ে তথ্য জানা যেতে পারে।’