বৃহস্পতিবার (১২ মে) সুব্র সিস্টেম লিমিটেডকে বিএসইসির দেওয়া চিঠি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, শেয়ারবাজারের আইটি খাতে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনে আবেদন করে সুব্র সিস্টেম। তবে আইটি খাতে তালিকাভুক্ত হতে না পেরে পরে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের মাধ্যমে এসএমই প্লাটফর্মে তালিকাভুক্ত হতে আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠানটির কিউআইও আবেদন গ্রহণ করে। পরবর্তীতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দেওয়া এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানতে পারে- বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে লেনদেন বন্ধ থাকা বানকো সিকিউরিটিজের দুইজন পরিচালক সুব্র সিস্টেমেরও পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন। এ দুই পরিচালক নিজেদের শেয়ার বিক্রি করতে চাইছেন। এমন অবস্থায় সুব্র সিস্টেম লিমিটেডের কিউআইও আবেদন বাতিল করে বিএসইসি।
বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. আরিফুল ইসলামের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ১২ কোটি টাকার শেয়ার ইস্যু করার জন্য সুব্র সিস্টেমের আবেদনে সম্মতি দেওয়ার অবস্থানে নেই কমিশন।
উল্লেখ্য, বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দিতে না পারাসহ ‘গুরুতর’ কিছু অভিযোগে গত বছরের ১৫ জুন বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্রোকারেজ হাউজ বানকো সিকিউরিটিজে লেনদেন বন্ধ করে দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। সে সময় বিনিয়োগকারীদের ৬৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ১৩৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
গত বছরের ১৪ জুন রাতে বানকো সিকিউরিটিজের মালিকদের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। একই সঙ্গে বিএসইসির মাধ্যমে বানকো সিকিউরিটিজের মালিকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা করে ডিএসই। পরের দিন ১৫ জুন সকালে মতিঝিল থানা অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠায়। ওই বছরের (২০২১) ২৯ জুন দেশত্যাগ করার সময় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আব্দুল মুহিতকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
তখন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় বানকো সিকিউরিটিজের চেয়রম্যান ও পরিচালকরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে এজন্য ইমিগ্রেশন বিভাগে চিঠি দিয়েছিল বিএসইসি। এরই প্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।