ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রচুর ব্যবসায়ীকে আমরা ধরছি। সেটি ধরে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেখানে অনেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে এবং জেলেও পাঠানো হয়েছে। তবে এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাই না যাতে বাজার অস্থিতিশীল হয়। রমজান মাসটা সংযমের মাস। ব্যবসায়ীরা জানতেন ঈদের পর দাম বাড়বে, তারা সেই সুযোগ নিয়েছেন। তবে আমাদের ভুল হয়েছে টানা দুই মাস তেলের দামটা নির্ধারণ করিনি, যদি করতাম তাহলে তারা সুযোগটা নিতে পারতেন না। এ সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামটা বেড়েছিলে, তাই সেটি আগে ফিক্স (নির্ধারণ) করলে সমস্যাটা হতো না।
ব্যবসায়ীরা সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত না। আমরা ব্যবসায়ীবান্ধব। আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের দাম অনুযায়ী দাম ফিক্সআপ (নির্ধারণ) করে দেই। সে অনুযায়ী বাজারে দামটা থাকলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না, বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাই।
পেঁয়াজের বিষয়ে তিনি বলেন, পেঁয়াজের আইপি বন্ধ করে কৃষি মন্ত্রণালয়। কৃষকরা যাতে দাম পান সেটি দেখতে হবে। আমরা দেখছি কৃষকরা যাতে অন্তত ২৫ টাকা পান। বাকি ট্রান্সপোর্টসহ অন্য খরচ মিলে ঢাকার মানুষ ৪৫ টাকায় যাতে খেতে পারেন। কৃষকরা যাতে দাম পান এবং ভোক্তারাও যাতে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারেন সেটি আমরা দেখছি।
বর্ডার হাট সম্পর্কে তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম বিষয়টি নিয়ে। আশা করছি তিন-চারটি প্রোপাজাল দেবো। মিজোরামে গিয়েও আলোচনা হয়েছে। ছোট রাজ্য হলেও তারা এটি খুব পজিটিভলি দেখছে। এটা সাজেকের কাছাকাছি, ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে। এ বিষয়টি নিয়ে দ্রুত দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মেহ্দী আজাদ মাসুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ সুমন, সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল, হাসিফ মাহমুদ শাহ উপস্থিত ছিলেন।