২০১০ সালে ক্যারিয়ারের পঞ্চম বছরে এক হাজার রান করেন মুশফিক। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই চট্টগ্রামেই প্রথম ইনিংসে ৭৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ রান করে এক হাজার রান পূরণ করেন তিনি। যা করতে তার লেগে যায় ৩৯ ইনিংস। তার চেয়ে কম সময়ে হাজার রান করেছেন বাংলাদেশের আটজন ব্যাটার।
তবে এরপর এক থেকে দুই, দুই থেকে তিন ও তিন থেকে চার- প্রতিটি হাজার রানের মাইলফলকে মুশফিকের লেগেছে সমান ২৮ ইনিংস করে। এবার দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে চার থেকে পাঁচ হাজারে পৌছালেন ২৬ ইনিংস খেলে। যা প্রমাণ করে ক্রমেই আরও পরিণত হয়েছেন এ ডানহাতি অভিজ্ঞ ব্যাটার।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম এক হাজার, দুই হাজার ও তিন হাজার রানের মালিক সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক হাজার, ২০০৪ সালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দুই হাজার এবং ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন হাজারি ক্লাবে ঢোকেন বাশার।
এরপর চার হাজারি ক্লাবের দেখা পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় দশটি বছর। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে চার হাজার রানের ক্লাবে নাম তোলেন তামিম ইকবাল। এর চার বছরের মাথায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ হাজারের দরজা খুললেন মুশফিক।
বাংলাদেশের প্রথম হলেও বিশ্ব ক্রিকেটে মুশফিকের আগেই পাঁচ হাজার রান করেছেন ৯৮ জন ব্যাটার। এ তালিকায় ৯৯তম ব্যাটার হলেন মুশফিক। এখন তামিমের সামনে সুযোগ ১০০তম ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ হাজারি ক্লাবে ঢোকার। তার প্রয়োজন আর ১৯ রান।