এ সময় রাঙামাটি বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এ এস এম ফয়সাল, মেজর মো. মহিউদ্দিন ফারুকী উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, রাঙামাটির ১০ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে দুর্গম উপজেলা জুরাছড়ি। পাহাড়ে পাদদেশে বসবাস হাজারো মানুষের। এ জেলায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ।
কিন্তু সম্প্রতি কাপ্তাই হ্রদে পানি কমে যাওয়ায় যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন রয়েছে এ জেলা। সড়কপথগুলো পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে; যে কারণে যানবাহন দিয়ে যাওয়া যায় না এ উপজেলায়। কিন্তু টানা লকডাউনের কারণে এ জেলার মানুষ ছিল খাদ্য সংকটে। খবর পেয়ে হেলিকপ্টারে ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে সেনাবাহিনী।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের (চট্টগ্রাম সেনানিবাস) সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে ‘আর্মি এভিয়েশন’-এর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে ওই এলাকার ৩৮০ পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল, লবণ, আলু ও সাবান বিতরণ করা হয়।
রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান বলেন, শান্তি, সম্প্রীতি এবং উন্নয়ন- এ মূলমন্ত্র সামনে রেখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন যাবৎ দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে সন্ত্রাস দমন অভিযানের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সব মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।
২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতি-ধর্মনির্বিশেষে সব মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা, শিক্ষা ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানসহ সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।