শনিবার (২১ মে) সকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড় ও বৃষ্টি হয়েছে। তীব্র ঝড়ে কোথাও কোথাও গাছসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙে পড়েছে।
ভোর ছয়টার কিছু আগে ঢাকায় তীব্র কালবৈশাখী শুরু হয়। কিছুক্ষণ ঝড়ের পর শুরু হয় বৃষ্টি। সকাল ৯টা পর্যন্ত গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে মেঘ কেটে গিয়ে দেখা মেলে সূর্যের।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে নীলফামারীর ডিমলায়। এ সময় ঢাকায় ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, শনিবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ঝড়-বৃষ্টির এ প্রবণতা আগামী তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মার্তবান উপসাগর ও তৎসংলগ্ন মায়ানমারে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে প্রথমে সুস্পষ্ট লঘুচাপ এবং পরে নিম্নচাপে পরিণত হয়। এরপর এটি দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে বর্তমানে থাইল্যান্ড এবং তৎসংলগ্ন মিয়ানমার এলাকায় অবস্থান করছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।