এদিকে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে ব্যাপক পতনে চলছে লেনদেন। রোববার (২২ মে) ১টা ৩০মিনিট পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের পতন হয়েছে ৮১ পয়েন্ট।
জানা যায়, শেষ কার্যদিবসে যুক্তরাষ্ট্রের নাসডাক-১০০ সূচকটির পতন হয়েছে ৪০ পয়েন্ট। এতে সূচকটির অবস্থান দাড়িয়েছে ১১ হাজার ৮৩৫ পয়েন্টে। তবে এদিন শেয়ারবাজারটির ডাওজোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক বেড়েছে ৮ পয়েন্ট। এস অ্যান্ড পি৫০০ এর সূচক বেড়েছে দশমিক ৫৭ পয়েন্ট।
অপরদিকে সৌদি এক্সচেঞ্জে আজও ব্যাপক পতনে লেনদেন চলছে। দেশটির শেয়ারবাজারের টিএএসআই সূচকটি ২৮৫ পয়েন্টের পতনে লেনদেন চলছে। এছাড়া এমটি৩০ সূচকটির পতন হয়েছে ৪৩৯ পয়েন্ট, প্যারালেল মার্কেট ক্যাপড ইনডেক্স (এনওএমইউসি) ৩২৩ পয়েন্ট কমে ২২ হাজার ৫০৮ পয়েন্টে দাড়িয়েছে।
জানা গেছে, হংকং হ্যাং সেং এর সূচক বেড়েছে ৫৯৬ পয়েন্ট, কোরিয়ান কোম্পিংয়ের বেড়েছে ১৮৩ পয়েন্ট। জাপানের নিক্কেই ২২৫ এর বেড়েছে ৩৩৬ পয়েন্ট।
এর আগেও বুধবার (১৮ মে) নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের ডাওজোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক ১ হাজার ১৬৪ পয়েন্ট কমেছে। অন্যদিকে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ। সূচক দুটি ২০২০ সালের জুন মাসের পর একদিনে এতটা কমেনি কখনো।
এদিন নাসডাক স্টক এক্সচেঞ্জের প্রযুক্তি কোম্পানির সূচক নাসডাক ১০০ কমেছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ। অন্যদিকে এমএসসিআই গ্লোবাল ইনডেক্স কমেছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী সুদের হার বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতিতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় কোম্পানিগুলোর মুনাফা কমে যাওয়ার ঝুঁকি, বিশ্ব জুড়ে মন্দার আশংকা, শ্রীলংকার পর রাশিয়ার বন্ডের অর্থ ফেরতে খেলাপী হয়ে পড়ার আশংকা-সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় এই দর পতন হয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।