বর্তমান ঋণ-অনুপাত অনুসারে, একটি প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকের ১০০ টাকা মূলধনের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা ঋণ দিতে পারে। মার্জিন ঋণের (Margin Loan) ঋণের অনুপাত (Loan Ratio) বাড়িয়ে ১:১ করা হতে পারে। অর্থাৎ গ্রাহকের নিজস্ব মূলধন ১০০ টাকা থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাকে আরও ১০০ টাকা ঋণ দিতে পারবে। তবে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এখতিয়ারভুক্ত।
আজই এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি হতে পারে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
একই সময়ে মার্জিন ঋণ সুবিধা বাড়ানো ছাড়াও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে ব্রোকারেজ হাউজ থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিতে পারে কমিশন। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাব থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।
ডিএসইর সাবেক এক পরিচালক বলেন নগদ উত্তোলনের সুবিধা পুঁজিবাজারের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তিনি বলেন, কমিশন নগদ উত্তোলনের সুবিধা বাতিল করার পরে অনেক বিনিয়োগকারী তাদের বিও হিসাব বন্ধ করে দেয়। কারন তারা ব্রোকারেজ হাউজে নগদ জমা ও নগদ উত্তোলন করত। যে সুযোগ বাতিল করায় পুঁজিবাজার থেকে তারা নিজেদেরকে গুটিয়ে নেয়। এই সমস্যাটি সমাধানে ডিবিএসহ বিভিন্নভাবে কমিশনকে বোঝানো হয়েছে। অবশেষে কমিশন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে নগদ উত্তোলনের সুযোগ করে দিতে যাচ্ছে। এটা নিশ্চিতভাবে পুঁজিবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়াবে।