ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, অর্থমন্ত্রী গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে বৈঠকে কঠোর নির্দেশনায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার।
গত ১০ মে থেকে পুঁজিবাজারে দরপতন শুরু হয়। টানা ৮ দিনের পতনের কারণে ডিএসই’র প্রধান সূচক ৫৫৬ পয়েন্ট হারায়। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহকে এক বৈঠকে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে কঠোর নির্দেশনা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এ অবস্থায় পুঁজিবাজারের খারাপ অবস্থা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যে করেই হোক বাজারকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। একটি সুন্দর স্থিতিশীল বাজারে পরিণত করতে হবে।
তবে গত কার্যদিবসের ব্যবধানে আজ লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। আজ ডিএসইতে ৬৫৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ২৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা কম। গতকাল ডিএসইতে ৬৮২ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
আজ ডিএসইতে মোট ৩৭৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪৩টির, কমেছে ১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৩৩০.৫০ পয়েন্ট বা ১.৮২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪০৮.২২ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ২০৮টির, কমেছে ৪৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দর। আজ সিএসইতে ২৪ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।