সূত্র মতে, পেনশন ফান্ড এবং স্বীকৃত প্রোভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচ্যুইটি ফান্ড ব্যতীত অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকরীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগসীমা এক কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি করে তিন কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আর অনুমোদিত পেনশন ফান্ড এবং স্বীকৃত প্রোভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচ্যুইটি ফান্ডের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ৫০ লক্ষ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে দেড় কোটি টাকা করা হবে।
পেনশন ফান্ড এবং স্বীকৃত প্রোভিডেন্ট ফান্ড ও গ্রাচ্যুইটি ফান্ড ইলেকট্রনিক্স সাবসক্রিপশন সিস্টেমে (ইএসএস) নিবন্ধনের জন্য এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) অনুমোদিত কপি এবং নিরীক্ষিত আর্থিক ও ব্যাংক বিবরণী যাচাই করতে হবে।
উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারের তারল্য সংকট দূর করতে চলতি বছরের মার্চে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসইসি। গত ৯ মার্চ ব্যাংকগুলোর নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পরদিন ১০ মার্চ অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্টদের সঙ্গে এবং ৩০ মার্চ বাজার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করে সংস্থাটি।
বাজারে লেনদেন কমে যাওয়ায় তারল্য বাড়াতে এসব প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা চায় কমিশন। গত ২৩ মার্চ সরকারি-বেসরকারি ৬১টি ব্যাংককে আনুষ্ঠানকিভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে চিঠি দেয় বিএসইসি। ওই চিঠিতে ৩৩টি ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার যে বিশেষ তহবিল গঠন করেছে, তা থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে বলা হয়েছিল। বাকি যে ২৮টি ব্যাংক তহবিল গঠন করেনি, তাদের তহবিল গঠন করতে বলেছিল বিএসইসি।