দুই বিলিয়ন টাকা আসছে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলে

দুই বিলিয়ন টাকা আসছে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলে
সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আরও দুই বিলিয়ন টাকা চেয়ে চিঠি দিয়েছে পুঁজিবাজার পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্প তদারকি কমিটি। মঙ্গলবার (২৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, পুঁজিবাজার পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্প তদারকি কমিটি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দুই বিলিয়ন টাকা বিতরণ করার জন্য অনুরোধ করেছে। খুব অল্প দিনের মধ্যে এই তহবিলটি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

এছাড়া এক বৈঠকে বাজার অপারেটরদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্প তদারকি কমিটি স্কিম থেকে ২২০ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। পুঁজিবাজারকে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করার জন্য সরকার সংশোধিত পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর কয়েকদিন পরে কমিটির প্রথম বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের সহায়তার জন্য ২০১৩ সালে ৯০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছিল সরকার। পরবর্তী সময়ে এটিকে ঘূর্ণমান তহবিলে রূপান্তর করা হয়। পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তারল্য সরবরাহ বাড়াতে এবার এ তহবিলের আকার ও মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে তহবিলটির মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর পাশাপাশি এর আকার ১৫৩ কোটি টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৯ কোটি টাকা করা হয়েছে।

সম্প্রতি অর্থ বিভাগ থেকে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের মেয়াদ ও আকার বাড়ানোর বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) চিঠি দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ২৩ মে তারিখের স্মারকের মাধ্যমে এরই মধ্যে গঠিত ৯০০ কোটি টাকার ‘পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তা তহবিল’-এর অবশিষ্ট আদায় করা অর্থের ১৫৩ কোটি টাকা বিদ্যমান ৮৫৬ কোটি টাকার তহবিলের সঙ্গে যোগ করে আবর্তনশীল ভিত্তিতে পুনর্বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের মেয়াদ ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং সর্বশেষ বিতরণ করা ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ২০২৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ আবর্তনশীল ভিত্তিতে পুনর্বিনিয়োগযোগ্য এ তহবিলের মোট পরিমাণ হবে ১ হাজার ৯ কোটি টাকা।

সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা চলছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার প্রবণতাও ক্রমেই বাড়ছে।

এ অবস্থায় বাজার স্থিতিশীলতায় করণীয় নির্ধারণে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত রোববার (২২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ বৈঠকে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিদ্যমান তহবিলের আকার ও মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিএসইসির পক্ষ থেকেও এরই মধ্যে তহবিলটির আকার ও মেয়াদ বাড়ানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। গত বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের বিপরীতে আদায় ৯৫৭ কোটি টাকা হয়েছে। এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ তহবিল থেকে ঋণ বিতরণের সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে। আর ঋণ আদায়ের সময়সীমা আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। মেয়াদ ফুরিয়ে আসার কারণে বর্তমানে এ তহবিল থেকে কেউ ঋণ নিতে আগ্রহী হচ্ছে না।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত