তিনি জানান, বিভাগের ১৯৭ জন কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে ১২ জন শনাক্ত হয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। বিভাগের আট জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন আটজন। মারা গেছেন দুজন। এখন ৫৪ জন করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা হোম আইসোলেশনে।
বিভাগের রাজশাহী জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭ জনের। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৫ জন, নাটোরে ১১ জন, জয়পুরহাটে ৪০ জন, বগুড়ায় ৩৫ জন, সিরাজগঞ্জে ৫ জন এবং পাবনায় ১৩ জনের করোনা ধরা পড়েছে।
এদিকে সর্বোচ্চ ৬১ জনের করোনা ধরা পড়ায় এখনও বিভাগে করোনার হটস্পট নওগাঁ জেলা। গত ২৩ এপ্রিল প্রথম নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্সের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ২ মে নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের করোনা শনাক্ত হয় ঢাকায়। ২৮ এপ্রিল তিনি নির্বাচনী এলাকা থেকে ঢাকা যান। প্রায় ৬৫ বছর বয়সী এই সংসদ সদস্যের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর নওগাঁর প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এদের নমুনা পরীক্ষা শুরু হলে ৫ মে এক দিনেই তিন চিকিৎসসক ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শুক্রবার সংখ্যাটি বেড়ে হয়েছে ৬১।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে এখন প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। আর করোনার কোনো উপসর্গ থাকলে নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।