রোববার (২৯ মে) বিএসইসির মাল্টিপার্পাস হল রুমে বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটস আয়োজিত ‘বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
বিএসইসির কমিশনার বলেন, শ্রীলঙ্কার রিজার্ভ হচ্ছে এখন লেস দেন ২ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের হচ্ছে ১০ বিলিয়ন ডলার আর বাংলাদেশের হচ্ছে ৪২ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের ১০ বিলিয়ন ডলার যা ২০১০ সালে আমাদের ছিল। তাহলে আমরা পাকিস্তানের দিকে যাচ্ছি না আমাদের দিকে আসছি। এটা আমাদের ভাবতে হবে। আমরা কিভাবে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের সাথে নিজেদের কল্পনা করি। সেগুলোর সাথে আমরা নিজেদের জড়ানোর চেষ্টা করি। এই মনমানসিকতাকেই আমাদের বেধে রাখতে হবে। যদি আমরা সেখান থেকে না বেরিয়ে আসি, আমাদের যোগ্যতার প্রতি যদি আমাদের আস্থা না থাকে তাহলে আমাদের কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। কাজেই সব ধরণের গুজব বা অপব্যাখ্যা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের চিন্তা করতে হবে এদেশের উন্নয়নে কিভাবে আমরা সবাই মিলে সংযুক্ত থাকতে পারি। মনে রাখতে হবে যতদিন এদেশে কৃষকরা আছে, যতদিন এদেশের শিল্পায়ন আছে এবং যতদিন বিদেশে আমাদের প্রবাসীরা আছেন ততদিন এদেশের কোনো কিছুর অভাব হবে না। তাই আমরা আশা করি গুজবতান্ত্রিক কোনো কিছু বা কোনো ধরণের অপব্যাখ্যার মুখোমুখি আমরা যেন না হই।
বিএসইসির এই কমিশনার আরও বলেন, আমাদের দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল, দারিদ্রতার হার যখন ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছি ঠিক তখনই কোভিড শুরু হলো। কোভিডের ক্ষতি আমরা যখন রিকভারি করছি, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে তখন যুদ্ধ শুরু হলো। যুদ্ধসহ অনেক কারণে বাংলাদেশ প্রভাবিত হচ্ছে। তিনি বলেন, কোভিড বা যুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষতি থেকে দেশকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেট। দেশের অর্থনীতিতে ক্যাপিটাল মার্কেট ভূমিকা রাখতে পারে।