বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকেলে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শেষে এ কথা জানান মন্ত্রী।মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান ও দেশটির প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ বছরে ৫ লাখ কর্মী নেওয়ার কথা জানিয়েছে মালায়েশিয়া। প্রথম বছরে দুই লাখ কর্মী যাবে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে তাদের যত কর্মীর চাহিদা, তাতে প্রথম বছরেই পাঁচ লাখ লোক যাবে।
তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী হওয়ার পর ভেবেছিলাম মালয়েশিয়া বাজারে কর্মী পাঠাতে পারব না। হয়তো ব্যর্থ হয়েই বাড়ি ফিরব। আজ একটি সমঝোতায় এসেছি। জুন মাসের মধ্যে কর্মী পাঠানো শুরু করব।
‘আজ আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা বন্ধ সেক্টরগুলো খুলবে। বেতন ১৫০০ রিঙ্গিত হবে। তাদের কর্মী তালিকা দেওয়া হবে, সেখান থেকে যাবে। তাদের সিলেকশন অনুযায়ী মেডিকেল হবে।’
মন্ত্রী বলেন, কোনো সিন্ডিকেট নয়, আমরা তাদের দেশের সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা পাঠিয়েছি। এটি পছন্দ তাদের। তারা লোক নেবে তাদের পছন্দে। এখানে ২৫-৫০ নেই।
খরচের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার মন্ত্রী আমাদের বলেছেন যে, তারা জিরো খরচে লোক নিতে চেষ্টা করবেন। আশা করছি আগের যে হিসাব এক লাখ ৬০ হাজারের কথা ছিল এবার তার চেয়ে কম হবে।
আসা-যাওয়ার টিকিট, মালয়েশিয়ায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা, কোয়ারেন্টাইন, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন খরচ নিয়োগ দাতা বহন করবে। বাংলাদেশের অংশে পাসপোর্ট, মেডিকেলসহ অন্যান্য খরচ কর্মীকে বহন করতে হবে।