সম্প্রতি সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
প্রাক-আইপিও শেয়ার লক-ফ্রি হওয়া অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের চার বিনিয়োগকারী হলেন, হাসান ইউসুফ চৌধুরী, ইউনিভার্সাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট, বেঙ্গল অ্যাসেট হোল্ডিংস এবং এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট। এই চার বিনিয়োগকারীদের একসাথে কোম্পানিটির ৯৭ লাখ ৬৫ হাজর ৪৮৫টি শেয়ার রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, কোম্পানির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে কমিশন প্রি-আইপিও শেয়ার ব্লক করে দেয়।
নিয়ন্ত্রক সংসস্থার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ওই চারটি বিও অ্যাকাউন্টের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তবে সমস্ত প্রাক-আইপিও বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কমিশন কোম্পানির শেয়ার লক-ফ্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা গেছে, একজন বিনিয়োগকারী অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন থেকে ২০ লাখ প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনেছেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু কোম্পানি প্রাথমিক পাবলিক অফারের (আইপিও) চূড়ান্ত প্রসপেক্টাসে বরাদ্দের কথা উল্লেখ করেনি। পরবর্তীতে বিএসইসি কোম্পানিটি এবং তাদের ইস্যু ম্যানেজারকে অসামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দেয়। এ বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিলেও কমিশনের কাছে তা সন্তুষ্ট বলে বিবেচিত হয়নি। পরবর্তীতে চলতি বছরের মার্চে অনিয়ম খুঁজে পাওয়ার পর নিয়ন্ত্রক তাদের প্রাক-আইপিও শেয়ার ব্লক করে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন। ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। সেই সময়ে কোম্পানিটি ৫.০৮ কোটি প্রাক-আইপিও শেয়ার ইস্যু করেছিল, যা তার পরিশোধিত মূলধনের ৬৩ শতাংশ ছিল। 'এ' ক্যাটাগরির কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১০৯ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। সে হিসাবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৯৭ লাখ ৮২ হাজার। এর মধ্যে সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে ৩০.৬৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী হাতে ২৩.২১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ০.১৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫৫.৯৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।