ঠিক ৪৩ বছর পর বুধবার ফের বাহরাইনের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন পর বাহরাইনের সঙ্গে এশিয়া কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে খেলতে নেমে সেই একই ব্যবধানে (২-০) হারে জামাল ভূঁইয়ারা।
বুধবার কুয়ালামপুরের বুকিত জলিল ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বিকেলে ম্যাচটি শুরু হয়।
এদিন বল পজেশন, আক্রমণ সব কিছুতেই ছিল বাহরাইনের প্রাধান্য। হারের ব্যবধান আরো অনেক বেশি হতে পারতো।
গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর দুর্দান্ত কিছু সেভের জন্য স্কোরলাইন আর বৃদ্ধি পায়নি। বাহরাইন দুইটি গোলই করেছে প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধেও বল পজেশন ও সব প্যারা মিটারে বাহরাইন এগিয়ে ছিল। তাদের বিপক্ষে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন জিকো।
দুই অর্ধেই জিকো দারুণ কিছু সেভ করেছেন। কখনো বক্সের সামনে বের হয়ে, কখনো জায়গায় দাঁড়িয়ে লাফিয়ে আবার কখনো বাহরাইনের ফরোয়ার্ডকে ১:১ রুখে দিয়েছেন। জিকোর এই পারফরম্যান্স না হলে বাংলাদেশকে লজ্জাজনক হারের তেতো স্বাদ গ্রহণ করতে হতো।
৩৩ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশ বাহরাইনকে রুখতে সক্ষম হয়েছিল। ৩৪ মিনিটে কর্ণার থেকে আল হারামা দুর্দান্ত হেডে গোল করেন। বাহরাইনের এই ফরোয়ার্ডের সামনে টুটুল হোসেন বাদশা ছিলেন। বাংলাদেশি ডিফেন্ডার বল পাওয়ার আগেই লাফিয়ে হেড করেন বাহরাইনের গোলদাতা।
আট মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাহরাইন। কর্নার থেকে আসা বলটি বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা হেডে আংশিক ক্লিয়ার করেন। বল বক্সের বাইরে বাহরাইনের মিডফিল্ডার আল আসওয়াদের পায়ে পড়ে। দূর থেকে নেয়া তার শট জটলার মাঝ দিয়ে গোলরক্ষক জিকোকে পরাস্ত করে (০-২)।
এরপর গোলের জন্য অনেক টেষ্টা করে যায় বাহরাইন। বাংলাদেশ তাদের সেই চেষ্টা রুখে দিলেও নিজেরা একটা গোলও আদায় করে নিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে হারে বাংলাদেশ।
৪৩ বছর ধরে বাহরাইনের ফুটবলের উন্নতির বিপরীতে বাংলাদেশের ফুটবলের গ্রাফ নিচে নেমেছে। র্যাংকিংয়ে বাহরাইনের (৮৯) চেয়ে ৯৯ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ (১৮৮)।
এ বছর সাত ম্যাচে বাহরাইন জিতেছে ছয়টি। আর তিন ম্যাচ খেলা বাংলাদেশের প্রাপ্তি মঙ্গোলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ড্র এবং মালদ্বীপের কাছে হার।