বুধবার সচিবালয়ে বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন, অ্যাটকোর সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং পরিচালকদের মধ্যে আব্দুল হক, কাজী জাহেদুল হাসান, লিয়াকত আলী খান মুকুল, আহমেদ জুবায়ের, নাভিদুল হক, মো. আশফাক উদ্দীন আহমেদ, আব্দুস সামাদ লাবু, অতিরিক্ত সচিব খাদিজা বেগম ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অ্যাটকোর সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং পরিচালকরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। তারা বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে ধার্য বিশেষ কর, ক্লিনফিড এবং দ্রুত টিআরপি শুরু করা নিয়ে আলোচনা করেন এবং দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ‘টক শো’সহ নানা ধরনের ভিডিও প্রদর্শন এবং আইপি টিভিতে সংবাদ প্রচার বন্ধে আইন প্রয়োগের দাবি জানান। এ ছাড়া অনিবন্ধিত আইপি টিভি বন্ধেরও দাবি জানান তারা।
সচিব মো. মকবুল হোসেন এ সময় সার্বিকভাবে সম্প্রচার সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে আলোকপাত করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকার ডিক্লারেশনে তাদেরকে টকশো করা, ভিডিও দেখানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। আইপি টিভিতে সংবাদ প্রচারও সরকারের নীতিমালার পরিপন্থি। তাদের বিরুদ্ধে আমরা খুব সহসা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তবে হ্যাঁ, যদি নিউজ সম্পর্কিত ভিডিও ক্লিপ যায়, সেটিতে আমি তেমন সমস্যার কিছু দেখি না। নিউজ যেটা হচ্ছে সেটার সঙ্গে ভিডিও ক্লিপ যেতেই পারে। এটি বিভিন্ন দেশে হয়ে থাকে। তবে রীতিমতো টকশো! আবার অনেকে নিউজরুম খুলে বুলেটিন প্রচার করে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটি ডিক্লারেশনের যে নীতি আছে, তার বরখেলাপ।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অ্যাটকোর সঙ্গে পূর্বের আলোচনার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পনি টিভি ও বেতারের টিআরপি নিরূপণের কাজটি দ্রুত শুরু করবে। ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল পরিবেশন করছে এমন যাকে পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, প্রয়োজনে কেবল অপারেটর লাইসেন্স বাতিল করা হবে, আমরা সেটি করব এবং আমরা মাঠপর্যায় থেকে এটা মনিটর করছি, মোবাইল কোর্ট চলছে।’
বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ ও সম্প্রচারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বার্থে, দেশের শিল্পীদের স্বার্থে আমরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আপনারা দেশের স্বার্থেই কাজ করছেন। আমি মনে করি, শিল্প এবং শিল্পী দুটোকে বাঁচানোর সম্মিলিত দায়িত্ববোধ থেকেই আমরা সেটি করেছি। জুলাই থেকে এটি কার্যকর হবে, সে জন্য আমরা পত্র দিয়েছি।’