বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে দুপুর ১২টার পর জাতীয় সংসদ ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে অর্থমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা অংশ নেন।
স্বাধীনতার পর ৫০টি অর্থবছরে ১১ জন অর্থমন্ত্রী ও অর্থ উপদেষ্টা বাজেট পেশ করেছেন। সব মিলিয়ে মোট ১৩ জন বাজেট পেশ করেছেন।
দেশের অর্থনীতির আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজেটের আকারও বাড়ছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ৫০ বছরে অর্থাৎ ১৯৭১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই ৫০টি বাজেটেই আকারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। এবারও গতবারের তুলনায় বাড়ছে বাজেটের আকার।
প্রথম বাজেটের পর এক হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল তিন বছর। এরপর ১৪ বছর লেগেছে ১০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হতে। ১৯৮৮ সালে এ বাজেট পেশ করা হয়। এরপর ২১ বছর পর এক লাখ কোটিতে উন্নীত হয় বাজেটের আকার। এটি ২০০৯ সালের কথা। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে এক লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ করে। এর ১০ বছরের মাথায় অর্থাৎ ২০১৯ সালে একই সরকার ৫ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব দেয়। আর আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল পৌনে সাত লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করছেন আজ বিকেলে।
স্বাধীনতা-পরবর্তী ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন ওই বাজেট পেশ হয়। তাজউদ্দীন আহমদ ওই দিন একই সঙ্গে ১৯৭১-৭২ ও ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর, অর্থাৎ দুই অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। এরপর আরও দুবার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ, সেটি সবশেষ দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকার।