কারণ বর্তমান গভর্নর ফজলে কবির শেয়ারবাজারবান্ধব নয় বলে বিভিন্ন সময় বিএসইসি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দেখা দেয়।ফলে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে গভর্নর ফজলে কবিরের আমলে। গভর্নর ফজলে কবিরের বিদায়ের মাধ্যমে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার সমন্বয়হীনতার অবসান ঘটবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে নতুন গভর্নর ও বিএসইসি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের ইতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে পরবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম অর্থসংবাদকে বলেন, নতুন গভর্নর হিসেবে অর্থ সচিব মহোদয় নিয়োগ পেয়েছেন, যেটি আমাদের জন্য অত্যন্ত সুখবরের। ইতিমধ্যেই আমরা এক সাথে দেশের অর্থনীতির জন্য রোড শো সহ বিভিন্ন বিষয়ে অনেক কাজ করেছি। এক সঙ্গে দেশ এবং দেশের বাহিরে একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। আমাদের মধ্যে ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সুসম্পর্ক রয়েছে। ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরবে আমাদের কাজের মধ্যমে। দেশের মানি মার্কেট এবং ক্যাপিটাল মার্কেট এক সাথে এগিয়ে গেলে দেশের অর্থনীতিও এগিয়ে যাবে।
সুত্র মতে, বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরের মেয়াদ শেষে দায়িত্ব নেবেন আব্দুর রউফ তালুকদার। ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে (বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচ) বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন রউফ তালুকদার। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুরে প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) হিসেবেও কাজ করেছেন এই কর্মকর্তা। ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই অর্থ সচিবের দায়িত্ব পান রউফ তালুকদার।
এদিকে ২০১৬ সালে চার বছরের জন্য গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক অর্থ সচিব ফজলে কবির। সে হিসাবে তার মেয়াদ ২০২০ সালের ১৯ মার্চ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এর ৩৪ দিন আগে ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গভর্নর হিসেবে তার মেয়াদ ৩ মাস ১৩ দিনের জন্য বাড়িয়ে দেয় সরকার। তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তিনি গভর্নর থাকবেন। ফজলে কবিরের ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ হয় ২০২০ সালের ৩ জুলাই। তার আগেই মে মাসে তার দায়িত্বের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়।