মঙ্গলবার (১২ মে) আন্তর্জাতিক নার্স দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
জনগণকে আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে নার্স ও মিডওয়াইফদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট মহামারি মোকাবিলায় নার্সরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমাদের দেশেও করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নার্সিং স্টাফ একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।’
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক নার্স দিবস-২০২০’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি এবারের আন্তর্জাতিক নার্স দিবসের প্রতিপাদ্য ‘নার্স : এ ভয়েস টু লিড-নার্সিং দ্য ওয়ার্ল্ড টু হেলথ’ যথার্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা মানুষের সার্বিক জীবনযাত্রার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে। স্বাস্থ্যখাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সারা দেশে হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিসহ নিয়োগ দেয়া হয়েছে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সাপোর্টিং স্টাফ। অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংগ্রহ ও ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। ফলশ্রুতিতে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, কমেছে মা ও শিশু মৃত্যুহার।’
তিনি বলেন, ‘একটি দেশের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় নার্সিং স্টাফ একটি অপরিহার্য উপাদান। আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২০ সালকে আন্তর্জাতিক নার্স ও মিডওয়াইফ বর্ষ ঘোষণা করেছে।’