এছাড়া বিষয়টি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে।
জানা যায়, ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোডের তিন জন উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছ থেকে ৩০.০১ শতাংশ (২ কোটি ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৮৪টি) শেয়ার ১০ টাকা মূল্যে অধিগ্রহণ করবে এসএস স্টিল।
তথ্য অনুসারে, ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোডের ২ কোটি ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৮৪টি শেয়ারের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মালেক ১ কোটি ৪৪ লাখ ৯৩ হাজার ২৯০টি, চেয়ারম্যান খায়রুন নেসা লাকি ৪২ লাখ ৯৭ হাজার ৯৬৫টি এবং পরিচালক নওশিন তাসনিম ১৩ রাখ ৪১ হাজার ৯২৯টি শেয়ার এসএস স্টিলের পরিচালনা পর্ষদের কাছে হস্তান্তর করবেন।
এদিকে, এমএ মালেকের শেয়ার জো হোল্ডিংস (প্রতিনিধিত্বকারী ও এসএস স্টিলের চেয়ারম্যান জাভেদ অপগেনহাফেন), খায়রুন নেসা লাকির শেয়ার অপজেনহ্যাফেন হোল্ডিংস (প্রতিনিধিত্বকারী ও এসএস স্টিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসনা অপজেনহ্যাফেন) এবং নওশিন তাসনিমের শেয়ার এনজে হেল্ডিংস (প্রতিনিধিত্বকারী ও এসএস স্টিলের পরিচালক সাঈদ রেজারাজ আহমেদ) অধিগ্রহণ করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিপোজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩ এর বিধি ৪২ এবং সিডিবিএল আইন ১১(৬) এর বিধান অনুযায়ী ১০ টাকা মূল্যে শেয়ার ক্রয় চুক্তি (এসপিএ) সম্পন্ন হবে। আরএই শেয়ার অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ১১টি শর্ত দেওয়া হয়েছে।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্টক এক্সচেঞ্জের লিস্টিং রেগুলেশন, ২০১৫ এর রেগুলেশন ৩৪(১) অনুযায়ী উৎস কর জমা দেওয়ার জন্য বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়ই উপযুক্ত ঘোষণা দেবেন। জো হোল্ডিংস, অপজেনহ্যাফেন হোল্ডিংস ও এনজে হোল্ডিংসের নামে প্রস্তাবিত ৩০.০১ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পাদনের পর ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোডের পরিচালনা পর্ষদে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মনোনীত পরিচালক হিসাবে মনোনয়ন দেবে এসএস স্টিল।
প্রস্তাবিত শেয়ারহোল্ডার পরিচালকরা ঋণ বা শেয়ার মানি ডিপোজিট হিসেবে কমপক্ষে ৬ কোটি টাকা এবং তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা অনুযায়ী কার্যক্রম সুষ্ঠু ও লাভজনকভাবে চালানোর জন্য যথাক্রমে ১০ কোটি টাকার কার্যকরী মূলধন ঋণ হিসেবে বিনিয়োগ করবেন। প্রস্তাবিত শেয়ারহোল্ডাররা সুদের বোঝা কমানোর জন্য ২৩ কোটি টাকার ব্যাংকের দায়ভারসহ অন্যান্য দায় যদি থাকে তা গ্রহণ করবে।
পরিচালকদের কাছ থেকে শেয়ারের টাকা জমা বা ঋণ একটি পৃথক ব্যাংক হিসাবে রাখা হবে এবং শুধুমাত্র ব্যাংকের দায়বদ্ধতা নিয়মিতকরণ, জমি অধিগ্রহণ, কার্যকরী মূলধন এবং উৎপাদন সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ওই টাকা ব্যবহার করা যাবে। ওইমেক্স ইলেকট্রোড শেয়ার মারি ডিপোজিটের বিপরীতে মূলধন সংগ্রহের জন্য কমিশনের সম্মতি পাবে।
উদ্যোক্তা ও পরিচালকগণ সম্মিলিতভাবে মোট শেয়ারের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণ করবেন, যা লক-ইন (রক্ষিত) থাকবে। ন্যূনতম ২ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারধারণকারী নতুন শেয়ারহোল্ডারদের অন্তর্ভুক্ত করে কোম্পানিটি একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করবে। মার্জিন লোন সুবিধার অধীনে থাকা শেয়ারগুলো নিষ্পত্তি সাপেক্ষে হস্তান্তর করা হবে। ক্রেতা শেয়ারহোল্ডাররা এই চিঠি জারির ৩০ দিনের মধ্যে শেয়ার স্থানান্তর প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে। আর প্রস্তাবিত শেয়ার স্থানান্তর কার্যকর করার আগে বিক্রেতাকে ঋণদাতা ব্যাংক থেকে অনাপত্তিপত্র গ্রহণ করে তা জমা দিতে হবে।
এছাড়া, এই শেয়ার স্থানান্তর প্রক্রিয়া কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (উল্লেখযোগ্য শেয়ার শেয়ার, অধিগ্রহণ ও কর্তৃত্ব গ্রহণ) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(২)(ঞ) এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা প্রকাশকরণ) নিয়মমালা, ১৯৯৫ এর বিধি ৪(২) এর শর্ত থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।