অতিবৃষ্টিতে শহর ও গ্রামের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন খাল-বিল ও নালা পানি ধারণক্ষমতা হারাচ্ছে। হাওরের জমাট পানি ও খালবিলের পানি উপচে পড়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আমতৈল ও খলিলপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের গ্ৰামগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে।
কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মারুফ আহমদ গণমাধ্যমে বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এলাকাজুড়ে পানি বেড়েই চলছে। পানাই নদীর জোয়ারে রাস্তা ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
সদরের ঘাগুটিয়া গ্রামের সেলিম খান গণমাধ্যমে বলেন, বৃষ্টির পানিতে আমার সবজির বাগান তলিয়ে গেছে। শিম, ঝিঙ্গা বরবটি ও ঢেঁড়সসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, মৌলভীবাজারের নদ-নদীগুলোর পানি এখন পর্যন্ত বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এক দিনে প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে গেছে। যদি উজানের ঢল নেমে আরো কয়েকদিন বৃষ্টিপাত হয় তাহলে এর প্রভাব পড়বে।