মঙ্গলবার (২৮ জুন) সিএসইর চট্টগ্রামস্থ প্রধান কার্যালয়ে এই সচেতনামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ ও ডিলার কোম্পানিজ থেকে সম্মানিত প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সিএসই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), মোঃ গোলাম ফারুক বলেন , বাংলাদেশে বন্ড মার্কেট খুবই ছোট এবং জিডিপিতে এর অবদান খুব নামমাত্র। কোম্পানীগুলো মূলধন সংগ্রহে ব্যাংক ঋনের উপর বেশী নির্ভর করায় এই বাজার গভীরতা পায়নি। বন্ডের কম সরবরাহ বন্ড বাজার বিকাশের জন্য অনুকূল নয়। একটি কার্যকরী বন্ড বাজার থাকলে, সরকার মেগা অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সহজেই তহবিল সংগ্রহ করতে পারত। বন্ডগুলি ইক্যুইটির জন্য দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী অর্থায়নের বিকল্প হিসাবে কাজ করে। বন্ডগুলি যদি ক্রমান্বয়ে পুঁজিবাজারে ট্রেডিং হওয়া আরম্ভ হয়, তবে বন্ড মার্কেটের আকার যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি সাথে সাথে পুঁজিবাজারে পণ্যের বৈচিত্রতাও আসবে। আর সেক্ষেত্রে পুজিঁবাজার জিডিপি বৃদ্ধির পাশাপাশি এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহযোগী খাত হিসাবে উন্মোচিত হবে বলে আশা করছি।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিএসইসি-র ট্রেনিং এন্ড আওয়্যানেস বিভাগের প্রধান এম সাদেক আহমেদ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সিএসইসি-র সিআরও, মোহাম্মদ মাহাদি হাসান, সিএফএ, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এন্ড হেড অফ আইটি ,মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, হেড অফ মার্কেটিং এন্ড বিজনেস প্রমোশন, মোহাম্মদ মনিরুল হক, হেড অফ ক্লিয়ারিং এন্ড ডিপি সার্ভিসেস,লিস্টিং এন্ড প্রি-লিস্টিং, এ. কে.এম. শাহরোজ আলম, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার এন্ড হেড অফ ইন্সপেকশন এন্ড এনফোসমেন্ট, আরিফ আহমদ ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আশা ব্যক্ত করেন, সরকারি সিকিউরিটিজের সেকেন্ডারি লেনদেন স্টক এক্সচেঞ্জের প্লাটফর্মে করার মাধ্যমে দেশে একটি প্রাণবন্তবন্ড মার্কেট গড়ে উঠবে। এর ফলে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার শুধু ইক্যুইটি মার্কেটের উপর নির্ভরশীল হবে না বরং এটি বন্ড মার্কেটের উপরও নির্ভরশীল হবে।