সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশের হাইকমিশন জানিয়েছে, তাদের এক বছর ধরে আলোচনা অবশেষে সফল হয়েছে। গত ১ জুলাই বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে ডিবিএস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিযুষ গুপ্তার একান্ত বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেন পিযুষ গুপ্তা।
তিনি জানান, ডিবিএস ব্যাংকের বাংলাদেশ শাখা প্রাথমিকভাবে ১০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ নিয়ে যাত্রা শুরু করবে। এই বিনিয়োগের বিষয়ে ইতিমধ্যেই তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
আগামী দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ব্যাংকটির প্রথম শাখা যাত্রা শুরু করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিশ্বব্যাপী ক্রেডিট রেটিংদাতা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পর্যায়ের রেটিংপ্রাপ্ত ডিবিএস লিমিটেড পর পর ছয় বছর ‘এশিয়ার সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংক’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়া, ইউরোমানি ডিবিএস-কে ২০১৬ সালে বিশ্বের সেরা ডিজিটাল ব্যাংকের সম্মাননা দেয়। বিগত বছরগুলোতে ডিবিএস বিশ্বের একাধিক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে সেরা ব্যাংকের স্বীকৃতি লাভ করে।
সিঙ্গাপুর ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, চীন, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনামসহ আরও কয়েকটি দেশে ব্যাংকটির তিনশোর বেশি শাখা এবং বিশ্বের প্রায় ৫০টি প্রধান শহরে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম রয়েছে। এই ব্যাংকের সর্বমোট সম্পদের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের অর্থনৈতিক কূটনীতি কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিঙ্গাপুরের এই বিখ্যাত ব্যাংকের বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসছে।
প্রসঙ্গত, বিগত এক দশকে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) হিসেবে সিঙ্গাপুর বর্তমানে তৃতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে। ডিবিএস-এর মতো বিশ্বখ্যাত ডিজিটাল ও কর্পোরেট ব্যাংকগুলো বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করলে তা দেশের ব্যাংকিং সংস্কৃতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।