সোমবার নিজের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের পর যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারা ক্ষমতায় এসেছে ‘খাওয়া পার্টি’ হিসেবে, দেওয়ার জন্য না। আর আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে মানুষকে দিয়ে যাচ্ছে, মানুষের জন্য করে যাচ্ছে।
তৃণমূল কর্মীরাই আওয়ামী লীগকে ধরে রেখেছে বলে জানিয়ে দলীয় সভাপতি বলেন, শত নির্যাতনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সংগঠন কিন্তু সবসময় শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ বিশেষ করে আমাদের মাঠকর্মীরা সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। তারা কিন্তু পার্টিটাকে ধরে রাখছে। এই কথাটি আমাদের মনে রাখতে হবে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে চলতে হবে। পঁচাত্তরের পরে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা তো ক্ষমতায় এসেছে খাওয়া পার্টি হিসেবে, দেওয়ার জন্য নয়। আর আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে মানুষকে দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জন্য করে যাচ্ছে। এটা হচ্ছে অন্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পার্থক্য। মানুষের শক্তিটাই আমার কাছে বড় শক্তি। অন্য কোনও শক্তি নয়।
দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, একটা স্বাধীন দেশকে কীভাবে উন্নত করতে হবে, তার জন্য সব কাজগুলো করে দিচ্ছি। দেশের উন্নয়নে যে সমস্ত কাজ করে যাচ্ছে, সেগুলো যেন ভালো মতো হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল, এই চিন্তা করা যাবে না।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের অর্থনীতিতে যে সঙ্কট নিয়ে এসেছে, তা মোকাবেলার কথা তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও ভালো আছি। চেষ্টা করে যাচ্ছি আমি আপ্রাণ যে আমরা ভালো থাকবো। কাজেই এখানেও সহযোগিতা করবেন সারা দেশবাসীকে।
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোনো এলাকায় যেন একটা মানুষও গরিব না থাকে, ভিক্ষা করে খেতে না হয়, কষ্ট না পায়। তাদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা নেতা-কর্মীর এটা মাথায় রাখতে হবে যে শুধু আমি খাব, আমি ভালো থাকব, আমি শান-শওকতে থাকব, আর আমার পাড়া-প্রতিবেশী খাবে না, এটা যেন না হয়।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সোমবারই প্রথম গোপালগঞ্জে পৈত্রিক ভিটায় যান শেখ হাসিনা। দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা হোসেন পুতুলকে নিয়ে সড়ক পথে পদ্মা সেতুর উপর দিয়েই যান তিনি।
টুঙ্গীপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতার কবর জিয়ারত করেন শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।