বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলাসের নেতৃত্বে বিভিন্ন মিশনের নারী প্রধান প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সংসদ ভবনে স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড, সুইডনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সা বার্গ ভন লিন্ডে, মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত হাজনা বিনতি মো. হাসিম, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতোমোর এবং বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, সংসদীয় কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের সংবিধানে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যা ৫০। একাদশ জাতীয় সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব হচ্ছে ২১ শতাংশ। সংবিধানে নারী ও পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত এবং সংরক্ষিত আসনের বিপরীতে নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণ একই সুবিধা ভোগ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইউনিয়ন পর্যায়ে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে নারী মেম্বার এবং উপজেলা পর্যায়ে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদটি সংরক্ষিত রেখেছেন-যা তৃণমূলের নারী নেতৃত্বকে সুসংহত করার ক্ষেত্রে মাইলফলক।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে অতি দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশ নেমে এসেছে। তবে অতি দারিদ্র্যের অধিকাংশ হচ্ছে নারী।
বাংলাদেশের নারী উন্নয়নকে ব্যতিক্রম উল্লেখ করে প্রতিনিধি দল বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন আজ দৃশ্যমান। নারীর পরিপূর্ণ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় আইন ও নীতিমালা প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। ৫০ বছর আগে সংবিধানে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করায় তারা বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এসময় প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের অগ্রগতি সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করেন।