এরইমধ্যে বেশির ভাগ কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ভোগান্তি ছাড়া দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে গেছে। তাদেরও ছিল না কোনো ভোগান্তির অভিযোগ।
বুধবার সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, ফেরিতে যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি অধিক সংখ্যক মোটরসাইকেল পারাপার হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিন মোটরসাইকেল নিয়ে দূরের যাতায়াত বন্ধ ঘোষণা হওয়ায় এ চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় প্রতিটি মোটরসাইকেলে ঝুঁকি নিয়ে নারী ও শিশুসহ মালামাল বহন করছেন মোটরসাইকেল চালকরা। লঞ্চগুলোও পাটুরিয়া ঘাট হতে যাত্রী বোঝাই করে দৌলতদিয়ায় আসছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে দৌলতদিয়া ঘাটে। তবে যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে যাচ্ছেন। ঘাটে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও মহাসড়কে ছিল না কোনো যানবাহনের চাপ।
এদিকে তীব্র স্রোতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে এ নৌরুটের ফেরি চলাচল। বর্তমানে রুটে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে।
যাত্রীরা জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঈদে ভোগান্তি ছাড়া এবারই প্রথম তারা বাড়ি ফিরছেন। তাছাড়া বাড়তি কোনো ভাড়াও দিতে হয় নাই। ফলে এবারের ঈদে আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপার করতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরি রয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনগুলো কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার হচ্ছে।