এসেই টিকিট পাওয়া যাত্রীরা বলছেন, ঈদের আগের দিন কখনো বাসের টিকিট পাওয়া যেতো না। কিন্তু এখন সাধারণ সময়ের মতো যেকোনো বাসের পছন্দ মতো সময়ের সিট পাওয়া যাচ্ছে।
গাবতলি বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টার থেকে বিভিন্ন রুটের নাম ধরে যাত্রীদের ডাকা হচ্ছে। যাত্রীরা এসে টিকিট চাইলেই পেয়ে যাচ্ছেন। টার্মিনালে নেই ঈদের কোনো আবহ। সুনসান নীরবতা। দু একজন যাত্রী দেখলে জোর দিয়ে ডাকছেন পরিবহন কর্মীরা।
ঢাকায় অটোরিকশা চালক মো. শোভন সাতক্ষীরা যাবেন। কাউন্টারে এসেই টিকিট পেয়েছেন। তিনি বলেন, কাউন্টারে এসেই টিকিট পেয়েছি। ভালো লাগছে। শান্তিতে বাড়ি যেতে পারব। চিন্তাও করিনি এসে টিকিট পাবো। পরিকল্পনা ছিলো বাসে দাঁড়িয়ে বা অন্য কোনোভাবে যাওয়ার।
পরিবার নিয়ে ফরিদপুর যাবেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চালক হানিফ মিয়া। বললেন, আগে গাবতলি থেকে ভেঙে বাড়ি যেতে হতো। ঈদের দুয়েকদিন আগের টিকিট পাওয়া যেতো না। কিন্তু এ বছর গাবতলী টার্মিনাল অচেনা লাগছে। পছন্দ মতো টিকিট পেয়েছি।
সাতক্ষীরা বেনাপোল রুটের গোল্ডেন লাইনের কাউন্টার ম্যানেজার আব্দুর রহমান বাবু বলেন, এখন আর টিকিটের সংকট নেই। যাত্রী সংকট। গতকাল যাত্রীর ভিড় ছিলো। কাউন্টারে বসার জায়গা দিতে পারি না। আজ বাস আছে, টিকিটও আছে। রাত ১১টা পর্যন্ত টিকিট দেওয়া যাবে। কিন্তু যাত্রী নেই।
একই রুটের হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার লালন জানান, প্রতিটি বাসেই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে আবার ঈদের পরে যাওয়ার টিকিট কেটে নিয়ে যাচ্ছে। গতকাল যাত্রীর চাপ ছিলো। আজ সম্পূর্ণ ফাঁকা। ডেকে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
মাদারীপুর রুটে চলাচল করা সার্বিক পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মো. শওকত জানান, বাস আছে যাত্রী নেই। আবার কিছু বাস গরুর গাড়ির কারণে আসতে পারছে না। আর গাড়ি এসেই বা কি হবে আজকে তো যাত্রী নেই। গত দুই দিন যাত্রীর চাপ ছিলো। আজ একদমই ফাঁকা।
এ ছাড়াও বরিশাল, মাগুরা, ফরিদপুর, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন রুটের বাসের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। চাহিদা মতো এসি ননএসি বাসের টিকিট মিলছে।